আইসিসির সাদা বলের ক্রিকেটে এখন দুই সংস্করণে বিশ্বকাপ হয়ে থাকে—একটি ওয়ানডে এবং অন্যটি টি-টোয়েন্টি। সেই সঙ্গে এশিয়া কাপও সংশ্লিষ্ট বিশ্বকাপ সংস্করণ অনুযায়ী আয়োজন করা হয়। এমনকি বিশ্বকাপ খেলুড়ে দলগুলোর দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও গুরুত্ব পেতে থাকে পরবর্তী বিশ্বকাপ সংস্করণের ক্রিকেট।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপও। আর যেহেতু বিশ্বকাপের সংস্করণের সাথে মিল রেখেই আয়োজিত হয় এশিয়া কাপ, সেহেতু এবার সেটিও হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই।
আর আইসিসির এই দুই বড় প্রতিযোগিতা সামনে রেখে এবার বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড দুই দেশের মধ্যে আসন্ন দুই সিরিজ থেকে ওয়ানডে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলেছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মে মাসে পাকিস্তান এবং জুলাই মাসে বাংলাদেশে হতে যাওয়া দুটি সিরিজের ৮টি ম্যাচই হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী মে মাসে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা। কিন্তু দুই বোর্ডের সম্মতিতে ওয়ানডের পরিবর্তে সিরিজটা এখন হবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের। আবার এফটিপির বাইরে জুলাইয়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্তে এখন তা ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরিণত হবে। মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগামী ২০, ২২ এবং ২৪ জুলাই এই ম্যাচগুলো মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে।
এ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, “আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের জন্য নিজেদের দল প্রস্তুত করতে দুটি বোর্ড মনে করেছে এখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচই বেশি খেলা উচিত। পাকিস্তানও এখন পরিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তাদের দলে নেই, তাই টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বেশি ম্যাচ খেলা প্রয়োজন।”
তবে, বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নিয়ে এখনো দোটানায় রয়েছে বিসিবি। নাজমুল হোসেন গত জানুয়ারিতে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দিতে চান না। কিন্তু বোর্ড চাইলে ওয়ানডে এবং টেস্ট অধিনায়কত্বে রাজি আছেন।
তবে বিসিবি সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে অধিনায়কত্ব নিয়ে পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। আগামী জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের আগে বাংলাদেশের কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই, তাই বোর্ডের পক্ষ থেকে অধিনায়ক নির্বাচনের বিষয়ে আরও সময় নেওয়া হবে। তবে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক কে হবেন তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। যেখানে শীর্ষে রয়েছে লিটন দাসের নাম।
প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগ খেলায় ব্যস্ত এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি আগামী ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে পারে। এই সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২০ এপ্রিল সিলেটে এবং দ্বিতীয় টেস্ট চট্টগ্রামে মাঠে গড়ানোর কথা ২৮ এপ্রিল থেকে।