ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫

বিসিবির দিকে আঙুল তুললেন সাকিব

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান তার ক্যারিয়ারের শেষভাগে এসে একাধিক বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন। রাজনৈতিক কারণে জাতীয় দলের জার্সিতে তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, আর বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞাও তার পিছু নিয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সাকিব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি এবং তাকে ছাড়াই প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক আসরে খেলেছে বাংলাদেশ।

তবে সম্প্রতি সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সম্পর্কে বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিসিবি তার সাথে যথাযথ যোগাযোগই করেনি, যার কারণে সাকিবকে পরবর্তীতে কাউন্টি দলের হেড কোচের কাছে যেতে বাধ্য হতে হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা নিয়ে কোনো ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি এবং তার বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হওয়ায় তাকে কেবল ব্যাটার হিসেবে নেওয়ার কোনো আগ্রহই দেখায়নি বিসিবি। সম্প্রতি ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

এছাড়া, সাকিবের মতে, রাজনৈতিক কারণে তিনি খেলোয়াড়ী জীবনে কিছু বাধা পেয়েছেন। বিশেষ করে, তিনি দেশের জন্য বিদায়ী টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সরকারের সায় না পাওয়ার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ২০২৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচের পর সাকিব আর ওয়ানডে খেলেননি এবং বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার পর কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সাথে কাজ করার জন্য তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, যাতে তিনি দ্রুত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।

সাকিব জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি বিসিবি আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারত। দ্য ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দেখুন, আমার কোনো অভিযোগ নেই, তবে যদি সেই ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরও ভালো হত, তাহলে আমি আরও খুশি হতাম।”

এখন সাকিব অতীতের বিষয়ে ভাবছেন না, বরং ভবিষ্যতে যেকোনো ঘটনার জন্য তিনি প্রস্তুত। তবে, তিনি স্বীকার করেছেন, যদি বিসিবি তার সাথে ভালো যোগাযোগ করত, তবে পরিস্থিতি অনেক সহজ হতে পারত। সাকিব আরও বলেছেন, “যদি কোচ সালাউদ্দিনের সাথে কাজ করার পর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হতাম, তাহলে আমাকে বাদ দেওয়াই উচিত ছিল।”

এছাড়া, বিসিবি তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল বা বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়াম্যান, নাজমুল আবেদীন ফাহিম, কেউই সাকিবের সঙ্গে তার ফিরতি ব্যাপারে যোগাযোগ করেনি। এর ফলে, বাধ্য হয়ে সাকিব কাউন্টি দল সারের হেড কোচ গ্যারেথ ব্যাটির সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেন এবং পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন।