বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন তারা হয়তো আর কখনো আসেনি। যে তারা শুধু নিজেকে আলোকিত করেননি, বরং তার মাধ্যমে পুরো দেশকেই করেছেন উজ্জ্বল। সেই তারা বিশ্বদরবারে বারবার বাংলাদেশের জন্য মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ এনে দিয়েছেন। এ তারার নাম সাকিব আল হাসান। আজ সেই তারার জন্মদিন।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এই ক্রিকেটার তিন ফরম্যাটেই সমান পারদর্শী। ২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়ার পর ১৮ বছর ধরে লাল-সবুজ জার্সিতে দেশের হয়ে খেলছেন। নানা সময়ে দলের জন্য এনে দিয়েছেন আনন্দের উপলক্ষ। আজ ৩৮ বছরে পা দিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
সাকিবের বাবা মাশরুর রেজা ছিলেন ফুটবল ভক্ত এবং স্থানীয় লিগে ফুটবল খেলতেন। কিন্তু সাকিব ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমী। গ্রামের বিভিন্ন মাঠে খেলে প্রথমে আম্পায়ারের নজরে আসেন সাকিব। এরপর মাগুরার ইসলামপুর পাড়া ক্লাবে খেলার সুযোগ পান এবং সেখান থেকেই বিকেএসপিতে ভর্তি হন। মাত্র ছয় মাসের কোর্সে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেন সাকিব এবং ১৫ বছর বয়সে জাতীয় দলের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা পেয়ে যান।
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর, সাকিব একই বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। সাকিব নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং ২০০৯ সালে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শীর্ষে উঠে আসেন।
পরবর্তীতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থান দখল করেন সাকিব। ২০১৫ সালে তিনি বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই শীর্ষ অলরাউন্ডার হন।