ঢাকা বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

তামিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, জানালেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ চলাকালীন বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার তামিম ইকবাল। এর সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকটতস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর সেখানে এনজিওগ্রাম করে হার্টে রিং পরানো হয়। এরপর তামিমের জ্ঞান ফিরলেও তাকে ২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখার কথা বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তামিমের সবশেষ অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত তামিমের শারিরিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে৷ যদিও কতৃপক্ষ ২৪ ঘন্টা অবজারভেশনে রাখেন সেটাই স্বাভাবিক নিয়ম। হাসপাতাল কতৃপক্ষ যথেষ্ট আন্তরিক।’

তবে এখনও পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নয় তামিমের অবস্থা। তাই ২৪ ঘণ্টার অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তবে ডাক্তাররা আশাবাদী এক দিনের মধ্যে অবস্থার আরো উন্নতি হবে। দেবশীষ বলেন, ‍‍`আমরা খুবই আশাবাদী যে একদিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নতি দেখতে পাবো।‍‍`

এর আগে, সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন তামিম। এরপর তাকে বিকেএসপির পাশে কেপিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তামিমের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাভারের কেপিজি বিশেষায়িত হাসপাতালের (পূর্বের ফজিলাতুননেসা মুজিব হাসপাতাল) ডিরেক্টর ড. রাজিব গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, ‍‍`আমরা সবাই জানি তামিম ইকবাল ভাই আজ সকাল বেলা অসুস্থ হয়েছিলেন। ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে বিকেএসপিতে অসুস্থ হন। এখানে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা শুরু হয়। পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া যাবে কিনা। কিন্তু উনার অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়, এই গুরুতর অবস্থায় আবার আমাদের কাছে আসেন। গুরুতর অবস্থা থেকে যত রকম চিকিৎসা দরকার সবই করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে উনার অবস্থা অনুকূলে আছে।‍‍`

তিনি আরও বলেন, ‍‍`উনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, এটার জন্য এনজিওগ্রাম করে এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট করা হয়েছে। স্টেন্টিং খুব স্মুথ ও কার্যকরভাবে হয়েছে। এটা করেছেন ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ। উনার ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। এখনো উনি পর্যবেক্ষণে আছে, গুরুতর অবস্থা এখনো কাটেনি। এটা একটু সময় লাগবে। সবাই উনার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি।‍‍`