বিগত ছয় বছর ধরে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কোনো জয় পায়নি ব্রাজিল। শুধু জয় নয়, সেলেসাওরা আর্জেন্টিনাকে গোলও দিতে পারেনি। ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের জন্য এটি সত্যিই বিব্রতকর বিষয়। গত ৬ বছরে দুই দল চারবার মুখোমুখি হলেও ব্রাজিল তিনটিতে হেরেছে এবং এক ম্যাচে ড্র করেছে। তবে এবার ব্রাজিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এই দুর্ভাগ্যের অবসান ঘটাতে চায়।
আগামীকাল ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সময় ভোরে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ব্রাজিল। এই ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ ৬ বছরের অপেক্ষা শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে সেলেসাওরা। দলের তারকারা যে প্রত্যাশা পূরণের জন্য প্রস্তুত, তা তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম থেকেই স্পষ্ট। রাফিনিয়া, ভিনিসিয়াস জুনিয়র এবং রদ্রিগোর পারফরম্যান্সের ধারা আর্জেন্টিনার উৎসবকে ম্লান করে দিতে পারে। তবে রাফিনিয়া যেন একটু বেশিই আগ্রহী।
বর্তমান সময়টি রাফিনিয়ার জন্য দারুণ কাটছে। বার্সেলোনা কিংবা ব্রাজিল, সবখানেই তার পারফরম্যান্স উজ্জ্বল। ব্রাজিলিয়ান এই কিংবদন্তি রোমারিও’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাফিনিয়া আত্মবিশ্বাসের সুরে আর্জেন্টিনাকে হারানোর আগাম ঘোষণা দিয়েছেন। শুধু ঘোষণা দিয়েই থামেননি, তিনি বলেছেন ম্যাচে নিজেই গোল করবেন।
রোমারিও টিভি’তে রাফিনিয়া বলেন, “আমরা তাদের অবশ্যই হারাব। গুঁড়িয়ে দেব। মাঠে এবং প্রয়োজন হলে মাঠের বাইরেও। আমি নিশ্চিতভাবে গোল করতে যাচ্ছি। আমরা যা কিছু আছে, সব নিয়ে মাঠে নামব।”
সম্প্রতি আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের মধ্যকার ম্যাচগুলো বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম লেগে মারাকানায় মারামারি এবং সংঘর্ষে পরিস্থিতি অনেক গরম হয়ে গিয়েছিল। সে সময় ফুটবলাররাও প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠে নেমে ছিলেন, যার ফলস্বরূপ দুই ফেডারেশনই শাস্তি পেয়েছে ফিফার পক্ষ থেকে।
রাফিনিয়া যেখানে ‘যুদ্ধ’ দেখছেন, সেখানে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি এই ম্যাচটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিক্সচার হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘মাঠে আমরা যোদ্ধা, তবে মাঠের বাইরে আমরা বন্ধু। আমি খেলোয়াড়দের মন্তব্য নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করতে চাই না। তবে আমি জানি, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কিন্তু এর বাইরে এটি শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ হওয়া উচিত।’
আপনার মতামত লিখুন :