সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে গত মঙ্গলবার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তামিম ইকবালকে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো। তবে সুস্থ হলেও এখনই ঝুঁকি কাটছে না না তামিমের। ভবিষ্যতে আবারও হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। এমনটিই বলছেন তার চিকিৎসকরা।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি হন তামিম ইকবাল। পরবর্তীতে সেখানেই তার হার্টে রিং পড়ানো হয়। বর্তমানে তিনি আছেন এভারকেয়ার হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এভারকেয়ার হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক তামিমের শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে তার ভবিষ্যত ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন।
তামিমের পূর্ব পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা আগেও ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের ইতিহাসটা খারাপ। তাদের পরিবারের রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রবণতা আছে। ওইটা তার হয়েছে। তার ব্লক ছিল প্রায় ৯৯ শতাংশ। তার উপর রক্ত জমাট বেঁধে সম্পূর্ণ হার্ট অ্যাটাকটা হয়েছে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ সে এখন নিরাপদ। ইনশা-আল্লাহ সে ভালো করবে। কিন্তু হার্টঅ্যাটাকের পরে ওর যে জটিলতা হয়েছিল, এ চিকিৎসাটা না পেলে ৩০ দিনের মধ্যে আবার এটা হয় এবং ৫০ শতাংশ রোগী মারা যায়।’
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝুঁকি এড়াতে তামিমকে চিকিৎসকদের দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের দিকনিদের্শনা যেটা, প্রথমবার হার্ট অ্যাটাক হওয়া রোগীদের খুবই সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে ভবিষ্যতে। তাদের এটা হওয়ার প্রবণতা আবার থাকতে পারে, ব্লক নাও হতে পারে।’
এছাড়া ভবিষ্যতে ঝুঁকি থেকে বাঁচতে তামিমকে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি খাবার, ডিসিপ্লিনেও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘ওকে (তামিম) নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে, ফলোআপে থাকতে হবে। লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। ডায়েট, ডিসিপ্লিন আর ঔষধে অনিয়ম করা যাবে না। তামিমের টিম, পরিবার এবং তামিম নিজেকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। শুধু আমরা চিকিৎসা দিলেই হবে না। সবকিছু মেনে চলতে হবে।’