হামজা চৌধুরীর অভিষেকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হয়েছে। ফাহমিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলারকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী বাফুফে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান ফুটবলার সামিত শোমের সাথে যোগাযোগ করেছে বাফুফে।
বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম গণমাধ্যমের কাছে সামিত শোমের যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সিদ্ধান্ত জানাতে ফেডারেশনের কাছ থেকে ২ সপ্তাহের সময় চেয়েছেন সামিত শোম।
হামজার পাশাপাশি যতজন প্রবাসী ফুটবলার আলোচনায় ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম সামিত শোম। তিনি কানাডার যুব দলে এবং জাতীয় দলে খেলেছেন। বর্তমানে কানাডিয়ান ক্লাব ক্যাভালরির হয়ে খেলেন এই মিডফিল্ডার।
সামিতের বিষয়ে বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম জানিয়েছেন, তারা সামিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং জানতে চেয়েছেন তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে আগ্রহী কিনা। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা গতকাল (শুক্রবার) সামিত শোমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং জানতে চেয়েছি তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে চান কিনা। তিনি কোচ এবং অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছেন।’
ফাহাদ করিম বলেন, ‘আমরা স্থানীয় এবং বিদেশি, উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিভা খুঁজে বের করতে এবং লালন করতে চেষ্টা করছি। সারা বছরই দেশের ভেতরে প্রতিভা খোঁজার কাজ চলে। এবার আমরা প্রথমবারের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের দিকে হাত বাড়াচ্ছি।’
আগামী জুনের শেষের দিকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা থেকে আসা প্রায় ৩০ জন খেলোয়াড়ের জন্য চার থেকে পাঁচ দিনের ট্রায়াল আয়োজন করবে বাফুফে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বাংলাদেশ দলে খেলার ব্যাপারে সামিতে সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বাফুফে। কিন্তু তখন আগ্রহ দেখায়নি ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। তবে হামজা বাংলাদেশে আসার পর হয়তো তার মত পরিবর্তন হতে পারে। এই সম্ভাবনা দেখেই বাফুফে আবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
তবে সামিতের বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। যেহেতু সে অন্য দেশের জাতীয় দলের সিনিয়র দলে খেলছেন তাই তার অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হবে। তাই শেষ পর্যন্ত এই প্রবাসী ফুটবলারের লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয় কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়!