সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষ কবে রিয়াল মাদ্রিদ ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে হেরেছিল, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে ফিরে যেতে হবে ১৭ বছর আগে। লা লিগার গত দেড় দশকে ভ্যালেন্সিয়া ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে একপাক্ষিক লড়াই চলছিল, কিন্তু এই মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে সেই লড়াইয়ে হারতে হলো রিয়ালকে।
শনিবার রাতে লা লিগার ৩০তম রাউন্ডের খেলায় ভ্যালেন্সিয়ার কাছে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচের বড় অংশজুড়ে আলোচনায় ছিল ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পেনাল্টি মিসের ঘটনা। তবে ভ্যালেন্সিয়ার জয়ের মূল কারিগর ছিলেন তাদের গোলরক্ষক জর্জি মামারদিশভিলি, যিনি দারুণ এক রাত কাটিয়েছেন এবং একাই আটটি শট রুখে দিয়েছেন, যার মধ্যে একটি পেনাল্টিও ছিল।
রিয়াল মাদ্রিদে এদিন ২০০তম লা লিগা ম্যাচ খেলছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এই ম্যাচে ১০ মিনিটে একটি সুযোগও তৈরি করেছিলেন তিনি, যখন কিলিয়ান এমবাপে পেনাল্টি আদায় করে দেন রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান তারকার দুর্বল শট সহজেই রুখে দেন মামারদিশভিলি।
পাঁচ মিনিট পর ভ্যালেন্সিয়ার ডিফেন্ডার দিয়াখাবি রিয়ালকে চমক দিয়ে দেয়। তিনি কর্নারে আসা বল হেড করে জালে পাঠান। রিয়ালের গোলরক্ষক ফ্রান গঞ্জালেস কোনো রিফ্লেক্স দেখাতে পারেননি।
এরপর দুই মিনিটে দিয়াখাবি আত্মঘাতী গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে এমবাপের অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। রিয়াল মাদ্রিদ তখনো হতাশায়। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে রিয়াল সমতায় ফিরেছিল ৫০ মিনিটে। লুকা মদরিচের কর্নার থেকে বল আসে জুড বেলিংহামের দিকে, এরপর পেনাল্টি মিসের পরও ভিনিসিয়ুস গোল করে সমতা আনে।
৬৫তম মিনিটে আবার ভ্যালেন্সিয়া গোল করার সুযোগ পায়, কিন্তু গঞ্জালেসের ভুলে সেটি রক্ষা পায়। এই সময়টায় রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণ করে চললেও, মামারদিশভিলির দারুণ সেভগুলো তাদের আরও গোলের সুযোগ হারানোর দিকে ঠেলে দেয়।
শেষে, যোগ করা সময়ের ৫ম মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের কষ্টের শেষ করে ভ্যালেন্সিয়া। রাফা মিরের একটি দুর্দান্ত ক্রসে হেড করে গোল করেন বদলি খেলোয়াড় উগো দুরো।
এই পরাজয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে সুবিধা করে দিয়েছে। ৩০ ম্যাচ শেষে রিয়ালের পয়েন্ট ছিল ৬৩। বেটিসকে হারালে বার্সেলোনা ৬ পয়েন্টের লিড নিতে পারত, তবে বেটিস-বার্সা ম্যাচ ড্র হওয়ার কারণে আপাতত ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে লা লিগার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।