টানা চার ম্যাচ জিতে ২০২৬ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল।
আট পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান এখন শীর্ষে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০.৩০টায় বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলবে এই দল।
অন্যদিকে, স্কটল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজও এখনো সুযোগের মধ্যে আছে। আর এরই মধ্যে বিশ্বকাপে যাওয়া নিয়ে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। কথা ছিল আর এক ম্যাচ জিতলেই বিশ্বকাপ মঞ্চে পা দেবে বাংলাদেশ, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সঙ্গে হেরে সেই আশা যেন এখন নিরাশাময়।
সব ঠিক থাকলেও খেলা নিয়ে খেলার আগেই মাঠের বাইরে সৃষ্টি হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা। কারণ, বিশ্বকাপের চান্স পেয়েই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে পাকিস্তান।
২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো রাষ্ট্র নিয়ে একসঙ্গে নিজ দেশে খেলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট ট্রিম।
সবাই খেলতে আসলেও খেলতে আসেনি রোহিত-কোহলি-জাদেজাতারা। পাকিস্তানে খেলতে না আসার কারণ হিসেবে ভারত সরকার বারবার নিরাপত্তা-শঙ্কার কথা বলে এলেও আসল কারণ যে রাজনৈতিক বৈরিতা।
আর এ কারণেই শেষ পর্যন্ত ভারত ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) শর্ত মেনে নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করেছিল।
সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে সরাসরি খেলতে না-ও যেতে পারে পাকিস্তান। সম্ভাবনা বেশি, ‘হাইব্রিড মডেল’-এর আওতায় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে তাদের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে, যেমনটা এশিয়া কাপে হয়েছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, পাকিস্তানের মেয়েরা ২০২৫ নারী বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ায় বিসিসিআই এরই মধ্যে লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
কারণ, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে পাকিস্তানের মেয়েদের ম্যাচ আয়োজন করতে হলে যাতায়াত, আবাসন–সুবিধা, নিরাপত্তাব্যবস্থা, সম্প্রচারসহ আরও অনেক কিছুতে বিসিসিআইকে বাড়তি খরচ করতে হবে। এসব নিয়ে পাকিস্তানের যেন কোনো অভিযোগ না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে বিসিসিআই প্রতিনিধিদের এখনই দৌড়ঝাঁপ শুরু করতে হবে।