সিরিজ শুরুর আগেই নাহিদ রানাকে ঘিরে শুরু হয়েছিল আলোচনা-সমালোচনা। এক বাংলাদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘নাহিদের চেয়ে দ্রুত গতির বল তো আমরা মেশিনেই অনুশীলন করি।’
অন্যদিকে, বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত পাল্টা জবাবে বলেন, ‘ক্রিজে নামলেই বোঝা যাবে নাহিদের গতির মাহাত্ম্য।’
কথার সেই লড়াইয়ে আপাতত নিজের অধিনায়ককে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। আগের দিন ৬৭ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দিনের শুরুতেই ধাক্কা দেন তিনি। দুই ওপেনার বেন কারেন ও ব্রায়ান বেনেটকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। আরেক পেসার হাসান মাহমুদও কম যাননি। ওয়ানডাউনে নামা নিক ওয়েলচকে বোল্ড করে দেন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৮ রান। উইকেটে রয়েছেন দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার শন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিন।
গতকালের বাজে অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে বাংলাদেশকে শুরুতেই কিছু করতে হতো। সেই দায়িত্বটা পালন করেন নাহিদ রানা। দিনের তৃতীয় ওভারে বেন কারেনকে ফেরান তিনি। একটি বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দেন কারেন।
অর্ধশতক করা ব্রায়ান বেনেটকেও বেশি সময় স্থায়ী হতে দেননি নাহিদ। তাকে স্কয়ার কাট খেলতে বাধ্য করেন, কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় জাকের আলীর হাতে।
এর পর উইকেটের মিছিলে যোগ দেন হাসান মাহমুদ। নিখুঁত এক ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন ওয়েলচকে।
বাংলাদেশের তরুণ পেসারদের দুর্দান্ত শুরু এই ম্যাচে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাকিটা নির্ভর করছে, বোলাররা কীভাবে ধৈর্য ধরে এই চাপ ধরে রাখতে পারেন।