সাকিব আল হাসান ও বিতর্ক—দুটি শব্দ যেন এখন একে অপরের পরিপূরক। শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরের নানা কর্মকাণ্ড তাকে বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে সাকিবের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকে।
এ ছাড়াও সাকিবের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। যা তদন্ত করতে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শেয়ার বাজারে অনিয়ম, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনোতে সম্পৃক্ততা, সোনা পাচার, কাঁকড়া ব্যবসায় দুর্নীতি, ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অসংগতি এবং নির্বাচনের সময় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। এসবের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে বিদেশে অর্থ পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ।
এ অভিযোগের তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি ‘চেতনা বাস্তবায়ন’ নামক একটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার ব্যয়সংক্রান্ত অনিয়ম খতিয়ে দেখতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।
দুদক জানায়, সাকিবের বিরুদ্ধে প্রকল্পে প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা না করেই সভা-সেমিনার আয়োজন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তহবিল ব্যয় এবং অপরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুদকের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, গবেষণা-সংক্রান্ত দরপত্রে অনিয়মসহ বেশ কিছু প্রকল্পে যৌক্তিকতা ছিল না। এসব বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া অতীতে নেওয়া মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সব প্রকল্প আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে দুদক। কারণ সেসবে অনেক অসংগতি ধরা পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :