সম্প্রতি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে অসদাচরণ করে আলোচনায় আসেন তাওহীদ হৃদয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে হৃদয়ের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে তিনি দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান।
তবে গণমাধ্যমের সামনে বেফাঁস মন্তব্য করায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
এরপর মোহামেডান ক্লাব কর্তৃক বিসিবিতে আপিল করার পর সেই শাস্তি কমে আসে। ৭টি ডিমেরিট পয়েন্ট থাকা সত্ত্বেও হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচে নামিয়ে আনা হয়।
বিসিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আপিলের পর তার ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট মুছে দেওয়া হয়, যার ফলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদও হ্রাস পায়।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়—এই ঘটনা সামনে আসার পরই বিসিবির কোড অব কনডাক্টে পরিবর্তন আনা হয়, যা টুর্নামেন্ট চলাকালে হওয়ায় ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে। পূর্বের নিয়মে ৪-৭ ডিমেরিট পয়েন্টে ২ ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নতুন নিয়মে তা কমিয়ে ১ ম্যাচ করা হয়েছে। একইভাবে অন্যান্য স্তরেও নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানো হয়েছে।
হঠাৎ এই পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—এই সিদ্ধান্ত কি শুধুই মোহামেডান বা হৃদয়কে সুবিধা দিতেই নেওয়া হয়েছে? সংশয় আরও জোরাল হয়েছে যখন জানা যায়, টেকনিক্যাল কমিটির যিনি হৃদয়ের শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন—চিফ আম্পায়ার্স কোচ এনামুল হক মনি—তিনি পদত্যাগ করেছেন। যদিও তার পদত্যাগের সঙ্গে শাস্তি হ্রাস ও নিয়ম পরিবর্তনের সরাসরি কোনো সংযোগ এখনো স্পষ্ট নয়।
এ ঘটনার পর ক্রিকেট মহলে বিসিবির স্বচ্ছতা ও নিয়ম প্রণয়নের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
আপনার মতামত লিখুন :