বাংলাদেশের ফুটবলে বসুন্ধরা কিংস বনাম আবাহনী ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। চলতি মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। তবে ফেডারেশন কাপের ফাইনালের এই ম্যাচ বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ‘স্থগিত’ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে দুই দলের নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ের প্রথম অর্ধের ১৫ মিনিটের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হয়।
কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় অর্ধ শুরুর আগে দুই দলের অধিনায়ক, কর্মকর্তা, ম্যাচ কমিশনারদের সঙ্গে রেফারি আলোচনার পর ম্যাচ ‘স্থগিতের’ ঘোষণা দেওয়া হয়।
ময়মনসিংহে এদিন শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে কিংস। অন্যদিকে তুলনামূলক অবস্থানে ছিল আবাহনী। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে কিংসে সাদ উদ্দিনের দূরপাল্লার প্রচেষ্টায় বল যায় পোস্টের বাইরে।
অবশ্য মিনিট-খানেক পরেই সাদের সেই আক্ষেপ পূর্ণ করেন লেসকানো। ফ্রি-কিক থেকে উড়ে আসা বল হেডে জালে জড়ান তিনি।
সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি আবাহনী। ম্যাচের ১৬তম মিনিটে তপু-সাদদের ঢিলেঢালা রক্ষণের সুযোগ কাজে লাগান আবাহনী ফরোয়ার্ড ইব্রাহীম। বাঁ প্রান্ত থেকে এমেকা ওগবাহের বাড়ানো বল নিখুঁত প্লেসিংয়ে জাল জড়ান ইব্রাহিম।
ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে মাহাদি ইউসুফ ও সোহেল রানা জুনিয়রের মধ্যের বল দখল নিয়ে মেজাজ হারায় দুই পক্ষ। রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজানোর পর শাকিল আহাদ তপুর শটে বল গিয়ে লাগে কিংস কোচ ভ্যালিরে তিতের গায়ে।
শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি। সহকারীদের সঙ্গে কথা বলে কিংসের রিমন হোসেন ও রিজার্ভ গোলকিপার মেহেদী হাসান, আবাহনীর মিরাজুল ইসলাম শাকিলকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি সাইমন হোসেন।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর মিনিট-দুয়েক পরই ভারী বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ করে দেন রেফারি। এরপর প্রায় ৫০ মিনিট পর ফের শুরু হয় খেলা।
ম্যাচের ৯১ তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত কিংস। তবে আবাহনী গোলরক্ষক মিতুল মারমার বুদ্ধিতে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় আকাশি-নীলরা।
৮৮তম মিনিটে অন্যরকম দুর্ভাগ্যের শিকার আবাহনী। রাফায়েল অগাস্তোর কাটব্যাক পৌঁছানোর কথা ছিল ছোট বক্সের ঠিক উপরে ভালো অবস্থানে থাকা সুমন রেজার কাছে। কিন্তু বল মাঝপথে আটকে যায় জমে থাকা পানিতে, তাতে সুমন শট নিলেও বলের সঙ্গে সংযোগ করতে পারেননি। সংযোগ হলে গোল হতেও পারত।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ফলাফল না আসায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষদিকে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন কিংসের ফাহিম।
এরপর আলোকস্বল্পতা নিয়ে দুই ক্লাবের অফিসিয়াল, অধিনায়ক, ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে বসেন রেফারি। তাদের মধ্যে আলোচনা চলে বেশ খানিকটা সময়, এরপরই আসে ফাইনাল স্থগিতের ঘোষণা।
আপনার মতামত লিখুন :