পর্তুগালের কিংবদন্তি ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বয়স কাগজে-কলমে অনেক আগেই ৪০ পেরিয়েছে। ২০২৬ বিশ্বকাপে যখন খেলা শুরু হবে, তখন তিনি থাকবেন ৪২-এর পথে।
বয়স বাড়লেও মাঠে তার প্রভাব বা কার্যকারিতা এখনো আগের মতোই দৃঢ়। ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন বিশ্বকাপেও তিনি পর্তুগালের অধিনায়ক হিসেবেই খেলবেন।
পর্তুগালের সাবেক তারকা লুইস ফিগোও চান রোনালদোকে ২০২৬ বিশ্বকাপে দেখতে। তার ভাষায়, ‘রোনালদো এখনো মূল একাদশে জায়গা পাওয়ার মতোই ভালো খেলছেন। তার ফিটনেস, পেশাদার মানসিকতা এবং প্রতিভা বিশ্ব ফুটবলে এক অনন্য উদাহরণ।’
ফিগোর বিশ্বাস, বয়স কখনোই রোনালদোর খেলায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। বরং ৪২ বছর বয়সেও তিনি গোল করতে পারবেন নিয়মিতই। ‘সে সবসময় গোল করবে—বয়স যতই হোক না কেন। এখন প্রশ্ন হলো, সেই গোলগুলো দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ হবে’—বলেছেন ফিগো।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘পর্তুগালের মানুষ চায়, তার প্রতিটি গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করুক।’
আল-নাসরের হয়ে সৌদি প্রো লিগে এখনো দারুণ ফর্মে আছেন রোনালদো। চলতি মৌসুমেই তিনি ৩০টি গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২১৯টি ম্যাচ, করেছেন ১৩৬টি গোল। অবসরের কোনো আভাসও দেননি তিনি।
রোনালদো যদি ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নেন, তবে সেটি হবে তার ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। এর ফলে তিনিই হবেন প্রথম ফুটবলার যিনি ছয়টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। আর তার নিজের লক্ষ্যও পরিষ্কার—যতদিন না পেশাদার ক্যারিয়ারে ১,০০০ গোলের রেকর্ড পূরণ হয়, ততদিন ফুটবলকে বিদায় জানানোর প্রশ্নই আসে না।
গুঞ্জন আছে, আল-নাসরের সঙ্গে তার বর্তমান চুক্তি ২০২৬ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত বাড়তে পারে। যদি সেটা হয়, তাহলে নিজের লক্ষ্য পূরণে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :