ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) চলতি মৌসুম খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না ম্যানচেস্টার সিটির। গত চার মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের জন্য এমন সমীকরণ দাঁড়িয়েছিল যে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে হলে বাকি সবকটি ম্যাচ তাদের জিততে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে দলটির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অ্যাস্টন ভিলাকে হারানো। তবে সেই চ্যালেঞ্জ উতরে গেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অ্যাস্টন ভিলাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা।
ম্যাচের প্রথম থেকেই অনেকটা ঢিলেঢালা মনে হয়েছে সিটিকে। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সিটির রক্ষণ ভাঙে ভিলা ফরোয়ার্ড রাশফোর্ড। তবে সিটিকে সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দেয় গোল পোস্ট।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে মারাত্মক এক ভুল করে বসনে ভিলা গোলরক্ষক এমি মার্তিনেজ। বার্নান্দো সিলভার নেওয়া জোরালো শট গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস ঠেকিয়ে দিলেও পরবর্তীতে তার গায়ে লেগে বল জড়ায় জালে।
সিলভা সিটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর ম্যাচের ১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ভিলাকে সমতায় ফেরান মার্কাস র্যাশফোর্ড।
বক্সে রুবেন দিয়াসের চ্যালেঞ্জে ভিলার জ্যাকব র্যামজি পড়ে গেলে ভিএআরে মনিটরে দেখে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
এরপর প্রথমার্ধের বাকি সময়ে একাধিক চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।
দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাতে থাকে দু’দল। তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছিল না কেউই। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে মার্মাউশ ভিলার জালে বল পাঠায়। তবে অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয় সেই গোলটি।
ড্রয়ের পথে থাকা ম্যাচে শেষ সময়ে নুনেসের গোলে উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা ইতিহাদ। বাঁ দিক থেকে জেরেমি ডোকুর পাসে দূরের পোস্টে কাছ থেকে শটে বল জালে পাঠান পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
মহা গুরুত্বপূর্ণ এই জয়ে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা উজ্জ্বল হলো সিটির।
৩৪ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে গুয়ার্দিওলার দল। ৩৩ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে নটিংহ্যাম ফরেস্ট চারে ও ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে নিউক্যাসল ইউনাইটেড পাঁচে নেমে গেছে।