সিলেটে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এ জয়ে চার বছর পর ক্রিকেটের মর্যাদাকর ফরম্যাটে জয়ের স্বাদ পেলো ক্রেইগ আরভিনের দল। এছাড়া এ জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপক্ষেও ৭ বছর পর কোন টেস্ট ম্যাচ জিতেছে দলটি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ম্যাচের চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৪ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নামে জিম্বাবুয়ে। যা ৩ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় দলটি।
যদিও ছোট এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়েছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের। বিশেষত মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি বেশ কার্যকর ছিল। তবে তা শেষ পর্যন্ত টাইগারদের হার থেকে রক্ষা করতে পারেনি।
এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্টে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটারদের আশা যাওয়ার ফলে প্রথমদিনেই মাত্র ১৯১ রানে অল আউট হয় দলটি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন মমিনুল হক। জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা নেন তিনটি করে উইকেট।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে শান্ত-জাকেররা বড় সংগ্রহের আশা দেখালেও চতুর্থ দিনে ব্যর্থ হয় তারা। এদিন জিম্বাবুয়ের পেসারদের বাউন্সারে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে নাজমুল শান্তের সতীর্থরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার বিদায়ের পর হাল ধরার চেষ্টা করেন জাকের আলী অনিক। শেষ পর্যন্ত জাকের ৫৮ রানে আউট হলে ২৫৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। এতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৪ রানের।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একদিন আর তিন উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের জয়ের ভিত অবশ্য তৈরি করে দেন দুই ওপেনার বেনেট এবং বেন কুরান।
৯৫ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের পথ সুগম করেন এই দুই ব্যাটার। ব্যক্তিগত ৭৪ বলে ৪৪ রান করে বেন কুরান সাজঘরে ফিরলে জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরে টাইগাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রেডিশিয়ানরা।
তবে শেষ পর্যন্ত তাদের থামানো যায়নি। বাংলাদেশের হয়ে এ ইনিংসেও ৫ উইকেট শিকার করেন মেহেদী মিরাজ। আরেক স্পিনার তাইজুল নেন ২ উইকেট।