বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে অবস্থান করছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। শুরু থেকেই এ সিরিজের সম্প্রচার নিয়ে তৈরি হয়েছিল নানা জল্পনা।
কোনো টিভি চ্যানেলই বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের এ সিরিজ দেখাতে আগ্রহী হয়নি।
তবে শেষ পর্যন্ত বিসিবির ত্রাণকর্তা হিসেবে সামনে আসে বিটিভি। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারে আগ্রহ দেখায় তারা। সিরিজের প্রথম টেস্ট সম্প্রচারও করে তারা।
দুই ম্যাচের এ সিরিজের প্রথম টেস্ট এরই মধ্যে জিতে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। সিলেটে প্রথম টেস্টে হারের পেছনে মূলত ব্যাটারদের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
তা ছাড়া নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সমালোচনায় পড়তে হয়েছে শান্তদের।
প্রশ্ন উঠেছে, এমন হতশ্রী পারফরম্যান্স চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের খেলা দেখাতে আগ্রহ প্রকাশ করবে তো বিটিভি?
চলতি সিরিজটি বেসরকারি কোনো টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিটিভিতে সম্প্রচার করা হয়। মূলত দর্শক চাহিদা না থাকার কারণেই বেসরকারি কোনো টেলিভিশন চ্যানেল এটি সম্প্রচারে রাজি হয়নি।
আর এর ছাপ স্পষ্ট দেখা গেছে বিটিভির অ্যাপে। যেখানে একপর্যায়ে রিয়েল টাইম দর্শকসংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যায়। আবার কখনো তা অস্বাভাবিকভাবে হাজারে নেমে এসেছে।
তবে দর্শকদের মূল অভিযোগ, বিটিভির সম্প্রচারের মান নিয়ে। আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে সাধারণত খেলার ফাঁকে থাকে বিশ্লেষণ, পরিসংখ্যান, রিপ্লে এবং টেকনিক্যাল আলোচনার মতো অনুষ্ঠান।
কিন্তু বিটিভির সম্প্রচারে এর কিছুই নেই। এমনকি মধ্যাহ্ন বিরতির সময়ও কোনো বিশ্লেষণী পর্ব দেখা যায়নি। অনেকটা দায়সারাভাবেই সম্প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি হতাশাজনক পারফরম্যান্স দিয়ে যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছেন নাজমুল-শান্তরা। সিলেটে প্রথম টেস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরেছে তারা।
প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অল আউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ভরাডুরি হয় বাংলাদেশের। চতুর্থ দিনে মাত্র ২৫৫ রানে অলআউট হয়ে জিম্বাবুয়েকে ১৭৪ রানের মামুলি টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। যা সহজেই টপকে যায় জিম্বাবুয়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, ক্রিকেটারদের উন্নতি নিয়ে উদাসীনতা এবং ক্রিকেটের ব্র্যান্ড ভ্যালুতে ধস যদি এভাবেই চলতে থাকে, তবে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের হতাশা আরও বাড়বে—এতে সন্দেহ নেই।