ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন থেকে ভবিষ্যৎ তহবিলের অর্থ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সেঞ্চারাস লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডস প্রাইভেট লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম পরিচালক উথাপ্পা।
৯ বছরেরও বেশি সময় ভারত জাতীয় দলে খেলেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার রবিন উথাপ্পা। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ খেললেও, এখনও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে দেখা যায় তাকে। তবে এবার ভিন্ন ঘটনায় উথাপ্পা খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) প্রায় ৩৩ লাখ টাকা জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর ইন্দিরানগরে অবস্থিত অ্যাপারেল ব্র্যান্ড সেঞ্চারাস লাইফস্টাইল কোম্পানির মালিকানা রয়েছে ভারতের ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটারের। নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ভবিষ্যৎ পিএফ ফান্ড থেকে ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০২ রুপি কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উথাপ্পার বিরুদ্ধে। পরে তার নামে ভারতের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও বিবিধ বিধান আইন–১৯৫২ অনুসারে মামলা করা হয়। সেই মামলায় বেঙ্গালুরুর প্রাদেশিক পিএফ কমিশনার সাদাক্ষারা গোপাল রেড্ডি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমমস জানিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার প্রতিষ্ঠান সকল কর্মীর বেতন থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের পিএফের টাকা কেটে নিলেও, পিএফ অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা দেননি। অর্থাৎ, তাদের সঙ্গে আর্থিক কারচুপি করেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। এই মর্মেই তার বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। জানা গেছে, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রেপ্তার এড়ানোর সময় রয়েছে উথাপ্পার সামনে।
২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তার সংস্থায় কাজ করা কর্মীদের পিএফের টাকা যদি ফিরিয়ে দেন, সেক্ষেত্রে তাকে আর গ্রেপ্তার করা হবে না। সেক্ষেত্রে পুলিশও তাকে গ্রেপ্তার পরোয়ানা তুলে নেবে। কিন্তু টাকা দিতে না পারলেই কারাগারে যেতে হবে আইপিএলে এক সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে। এর আগে ৪ ডিসেম্বর উথাপ্পার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পুলিশের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, উথাপ্পা বর্তমানে পুলাকেশিনগর (স্থানীয় বাড়ি) এলাকায় থাকেন না বলে পুলিশ তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কমিশনার গোপাল রেড্ডির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে সাবেক এই ক্রিকেটার দুবাইয়ে থাকেন বিধায় তার মামলা নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত রিকভারি অফিসাররা নেবেন। এর আগে ২০১৯ সালেও একবার উথাপ্পার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মুম্বাই আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা হয়েছিল। সেই সময় অবশ্য এই ক্রিকেটারকে আদালতে যেতে হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :