কাতার বিশ্বকাপের পর বিশ্ব ফুটবল পেয়েছে এক অদ্ভুত চরিত্রকে। যার নাম এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সমর্থক-সতীর্থদের কাছে তিনি নায়ক, গোল পোস্টের অতন্দ্র প্রহরী, তেমনি প্রতিপক্ষের কাছে মুর্তিমান এক আতঙ্ক।
মাঠের পারফরম্যান্সে মার্টিনেজ যেমন প্রশংসায় ভাসেন, তেমনি আবার অশোভন সব আচরণের জন্য ভাসেন সমালোচনায়। বিতর্ক যেন নিত্যদিনের সঙ্গী আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষকের।
গত সেপ্টেম্বরে চিলির বিপক্ষে জয়ের পর কোপার রেপলিকা ট্রফি নিয়ে অশালীনভাবে উদযাপনের অঙ্গভঙ্গি করেন মার্টিনেজ। একই উদযাপন ছিলো কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পরও। সবশেষ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষেও একই ঘটনার জন্ম দেন এই আর্জেন্টাইন। মেজাজ হারিয়ে ক্যামেরায় আঘাত করে আসেন আলোচনায়। তবে এবার আর পার পাননি তিনি। এ দুই ঘটনায় আপত্তিকর আচরণ এবং ফেয়ার প্লের মৌলিক নীতি ভঙ্গের দায়ে মার্টিনেজকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। অবশ্য সেই শাস্তি মেনে নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী এই গোলরক্ষক।
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেন, ফিফার দেয়া শাস্তি আমি মেনে নিচ্ছি। আমার আচরণে যদি কেউ দুঃখ পান, ক্ষমা চাচ্ছি সবার কাছে। আমার উদযাপনের মুহূর্তগুলো অনেকের মুখে হাসি ফোটায়। আমি কখনও কাউকে কষ্ট দিতে বা অসম্মান করার জন্য উদযাপন করি না। আমি চেষ্টা করব, আগামীতে আমার উদযাপনে কেউ যেন কষ্ট না পায়।
নিষেধাজ্ঞার কারণে আগামী ১০ অক্টোবর ভেনেজুয়েলা এবং ১৫ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে খেলতে পারবেন না ৩২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। তবে ম্যাচে না থাকলেও সমর্থন দিয়ে যাবেন নিজের দলকে।
মার্টিনেজ বলেন, ফিফা উইন্ডোতে আমি আমার বন্ধুদের সমর্থন দেবো। যদিও নিজে খেলতে না পারার আক্ষেপ থাকবে। যে কারণে নিষিদ্ধ হয়েছি সে বিষয়গুলো মাথায় থাকবে। এখন থেকে আমার পুরো মনোযোগ থাকবে আর্জেন্টিনা ও অ্যাস্টন ভিলার হয়ে শিরোপা জয়ের দিকে।
এমির অনুপস্থিতিতে কিছুটা হলেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আলবিসেলেস্তে শিবিরে। তবে ভরসার পাহাড় ভেঙে পড়লেও ,ভরসা হারাচ্ছেন না আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।
আপনার মতামত লিখুন :