দীর্ঘদিনের চোকার্স তকমা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে। কারণ তারা কোনদিন বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পেরেছিল না। সেমিফাইনালে গিয়েই বাদ হয়ে যেতে হতো। তবে গেল টি-২০ বিশ্বকাপে সেই তকমা মুছেছে ডেভিড মিলার-হেনরিখ ক্লাসেনরা। যদিও বিশ্বকাপ জিততে পারেনি তারা।
তবে পুরুষদের ক্রিকেটের পূর্বেই অবশ্য মেয়েদের খেলায় সেই তকমা আগেই উঠে গেছে। কারণ সর্বশেষ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। সেবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয়। চলমান বিশ্বকাপে দুই দল মুখোমুখি হলো সেমিফাইনালেই। এবার অবশ্য অজিদের জয়রথ থামিয়ে প্রতিশোধ নিলো প্রোটিয়া মেয়েরা। সেই সঙ্গে টানা দ্বিতীয় ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা।
নারী ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য দীর্ঘদিনের। ৮টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যে ৬টিতেই শিরোপা জিতেছে ক্যাঙ্গারু মেয়েরা। শেষ তিন বারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে অজি নারী দল। সেই অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে হারিয়ে দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ১৬ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফ্রিকার মেয়েরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বড় স্কোর গড়তে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বেথ মুনি, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা ও অ্যালিসা পেরি সমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং বিভাগ নির্ধারিত ওভারে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা মাত্র ৫ উইকেট নিলেও রান আটকানোতে দারুণ সফল হয়েছেন। মেরিজেন কাপ, আয়াবঙ্গা খাকারা কখনও মুনিদের আগ্রাসী হতে দেননি। ফলে হাতে উইকেট থাকলেও বেশি রান করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
লক্ষ্য ছিল ১৩৫ রান। ২০ ওভারে যা খুব কঠিন নয়। কিন্তু বিপক্ষ যদি হয় অস্ট্রেলিয়া তাহলে অবশ্যই পরীক্ষার মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার লরা উলভার্থ (৪২) এবং তিন নম্বরে নামা অ্যানেকে বস্ক (৭৪ রানে অপরাজিত) মিলে কাজটা সহজ করে দেন। ১৬ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ফেভারিট অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চমক দেখাবে দক্ষিণ আফ্রিকা, ম্যাচ শুরুর আগেও অনেকটা অবিশ্বাস্যই ছিল। ২০১৮ থেকে টানা তিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের হারিয়ে মাঠেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের। মেগান স্কুটের বলে চার মেরে ম্যাচ জেতান ম্যাচের সেরা বস্ক। তার মারা বল বাউন্ডারি পার করতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি ক্রিকেটারেরা একে ওপরকে জড়িয়ে ধরেন। উচ্ছ্বাস দেখা যায় সমর্থকদের মধ্যেও। উল্টো দিকে অস্ট্রেলিয়ার কোচ, ক্রিকেটারদের চোখে মুখে হতাশা
আপনার মতামত লিখুন :