কানপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে শেষমেষ ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল হক। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। রৌদ্রোজ্জ্বল গ্রিন পার্কে দিনের শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫ রান যোগ করেই আউট হয়ে যান মুশফিকুর রহিম। প্রথম দিনের খেলা শেষে ৬ রানে অপরাজিত থাকা ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরেছেন ১১ রান করেই। জাসপ্রিত বুমরাহর বল ব্যাট উঁচিয়ে ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন মুশফিক।
এরপর মুুমিনুল হক ও লিটন দাসের ব্যাটে এগোচ্ছিলো বাংলাদেশ। শুরুতে দারুণ কিছু শট খেললেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি লিটন। ৩ চারে মোট ১৩ রান (৩০ বলে) করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে মিডঅফে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ হন তিনি।
এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সিরাজের হাতে ক্যাচ হন সাকিব আল হাসান (১৭ বলে ৯)। ভারতীয় স্পিনারের আগের বলে চার মেরেছিলেন সাকিব। পরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অফে ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে ক্যাচ হন টাইগার অলরাউন্ডার।
এক প্রান্তে মুশফিকুর, লিটন ও সাকিব উইকেট বিলিয়ে দিলেও অপর প্রান্ত আগলে রাখেন মুমিনুল। শেষ পর্যন্ত টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি হাঁকান বাঁহাতি ব্যাটার। দীর্ঘ ১৫ মাস পর তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করলেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটার। দেশের বাইরে এটি মুমিনুলের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০২১ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে প্রথমবার শতক হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯৪ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল।
৪২ বলে ২০ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বুমরাহর ঘণ্টায় সাড়ে ১৪১ কিলোমিটার গতির বলে স্লিপে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ হন তিনি। এরপর তাইজুল ইসলামের (৮ বলে ৫) স্টাম্প উপড়ে ফেলেন বুমরাহ। হাসান মাহমুদকে (৪ বলে ১) এলবিডব্লিউ করেন সিরাজ।
রবীন্দ্র জাদেজাকে ফলোথ্রু করে ক্যাচ দিয়ে খালেদ আহমেদের উইকেটের মাধ্যমে শেষ হয় বাংলােদেশের প্রথম ইনিংস।
আপনার মতামত লিখুন :