‘গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স’র জার্সিতে শুরুটা ভালোই করেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা খেই হারিয়েছেন এই পেসার। দলের প্রয়োজনের সময় পারফর্ম করতে পারেননি বাংলাদেশি তরুণ। আর তাতে অস্ট্রেলিয়ান দল ভিক্টোরিয়ার কাছে হেরেছে গায়ানা।
শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান দরকার ছিল ভিক্টোরিয়ার, হাতে উইকেট ছিল ৪টি। পরিস্থিতি বিবেচনায় তখনও দুই দলই তখন ভালোভাবে ম্যাচে টিকে ছিল। তবে তানজিমের করা ১৯তম ওভারের পর ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় গায়ানা। সেই ওভারে মোট ১৩ রান দেন এই ডানহাতি পেসার।
ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে গায়ানাকে ডিফেন্ড ৬ রান করতে হতো। দুঃসাধ্য সেই কাজটি পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকান অভিজ্ঞ পেসার ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস। ৩ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভিক্টোরিয়া।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মঈন আলী এবং শাই হোপের ইনিংসে ভর করে ১৬২ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় গায়ানা। ওপেনিংয়ে নেমে ৩৩ বল খেলে ৫১ রান করেন মঈন। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ বলে ৪০ রান করেন হোপ। শেষদিকে নেমে ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিং খেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটার হাসান খান।
জবাব দিতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভিক্টোরিয়া। পরের ওভারেই ফেরেন দলটির আরেক ওপেনার জো ক্লার্ক। পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে কেবল ৩৮ রান করে ভিক্টোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটার সঞ্জয় কৃষ্ণমূর্তি শুরুটা ভালো করেন। তবে বেশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেননি। ১৭ বলে ৪০ রান করে দলীয় ৬৮ রানে ফেরেন তিনি। ১ বলের ব্যবধানে ফেরেন জনাথন ওয়েলসও।
পঞ্চম উইকেটে ২৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন স্কট অ্যাডওয়ার্ডস এবং অধিনায়ক কোরি অ্যান্ডারসন। কোরি নিজের ভুলে রান আউট হয়ে ফিরলে সেই জুটি ভাঙে। ষষ্ঠ উইকেটে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক ব্যাটার কারিমা গোরেকে নিয়ে জুটি গড়েন অ্যাডওয়ার্ডস। জয় থেকে ৪০ রান দূরে থাকতে তানজিম সাকিবের বলে আউট হয়ে ফেরেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক। ২৫ বলে ৩১ রান করেছেন তিনি।
শেষদিকে ডমিনিক ডারকেস এবং গোরে মাত্র ২০ বলে ৪৩ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে জয় এনে দেন ভিক্টোরিয়াকে। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন গোরে। ডারকেস ৭ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন।
তানজিম সাকিব এদিন প্রথম ২ ওভারে ১২ রান দেন। কিন্তু পরের ২ ওভারে ২২ রান দেন। বিশেষ করে ১৯তম ওভারে তিনি ১৩ রান দেয়ায় ম্যাচ হাত থেকে ফসকে যায় গায়ানার। তবে স্কট অ্যাডওয়ার্ডসের উইকেট নিয়ে গায়ানাকে লড়াইয়ে ফেরানোর নায়কও তিনিই। তবে শেষটায় আর সেই ঝলক ধরে রাখতে পারেননি।
আপনার মতামত লিখুন :