রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অসাধারণ সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। খেলেন ১৩৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। যার জন্য ম্যাচের পর সেই অসাধারণ কীর্তির স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি। নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাচসেরা হিসেবে।
শুধু তাই নয়, এই স্মরণীয় সেঞ্চুরি করায় র্যাংকিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে উঠে এসেছেন তিনি।
বুধবার পুরুষ ক্রিকেটারদের সাপ্তাহিক হালনাগাদকৃত টেস্ট র্যাংকিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড-শ্রীলংকা সিরিজের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত র্যাংকিংয়ে বড় রদবদল ঘটেছে। দলীয় সাফল্য যেমনই হোক, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ক্রিকেটারদের উন্নতি-অবনতি দেখা গেছে র্যাংকিংয়ে।
আইসিসি র্যাংকিংয়ের হালনাগাদে দেখা যায় ২৭ নম্বর থেকে ১২ ধাপ এগিয়ে ১৫ নম্বরে উঠে এসেছেন লিটন দাস। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। তার পরেই আছেন মুশফিকুর রহিম, তিনি আছেন ১৭ নম্বরে।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর অবস্থায় মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ১৬৫ রানের ইতিহাস গড়া জুটি গড়েন লিটন। মিরাজের বিদায়ের পর টেল এন্ডার হাসান মাহমুদকে নিয়ে গড়েন আরেক বড় জুটি। তার ১৩৮ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। টেস্ট ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যাটার যিনি দলের ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৬ বা ৭ নম্বরে নেমে টেস্টে তিনটা সেঞ্চুরি করেছেন।
১৫তম অবস্থানে উঠে এলেও এটাই লিটনের ক্যারিয়ার সেরা অবস্থান নয়। ২০২২ সালে ১২তম অবস্থানে উঠেছিলেন তিনি।
তার সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্টে ১৬৫ রানের জুটি গড়তে গিয়ে মেহেদি মিরাজ খেলেছেন ৭৮ রানের ইনিংস। প্রথম টেস্টেও তার একটি ইনিংস ছিল ৭৭ রানের। ফলে তিনি ব্যাটিংয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে উঠে গেছেন ৭৫ নম্বরে। টেস্টের অলরাউন্ড র্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে সাতে উঠেছেন মিরাজ।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় আর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি কারও। তবে শান্ত, সাকিব ও মুমিনুলরা পিছিয়েছেন। মুশফিক প্রথম টেস্টে ১৯১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেললেও তার অবস্থান (১৭তম) রয়েছে অপরিবর্তিত। সিরিজে মুমিনুল একটি ফিফটি পেয়েছেন ঠিকই, তবে সবমিলিয়ে নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারা এই বাঁ-হাতি ব্যাটার পিছিয়েছেন তিন ধাপ (৪৯)। এ ছাড়া ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব দুই ধাপ (৪৫) ও শান্ত পিছিয়েছেন তিন ধাপ (৬৬)।
আপনার মতামত লিখুন :