পরপর দুই ফাইনাল খেলার পর কেটে গেছে ১৪ বছর। দুবারই হেরে স্বাদ নেয়া হয়নি শিরোপার। তবে সে খরা কাটানোর সুযোগ আরেকবার আসলো নিউজিল্যান্ডের মেয়েদের সামনে।
নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ২০১০ সালের পর আবারও ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৮ রানের জয় পেয়েছে কিউইরা।
রান তাড়ায় নেমে ৬৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে লড়াইয়ের আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউজিল্যান্ড মেয়েরা ততক্ষণে ফাইনাল খেলার স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু মাঝপথে ভয় ধরিয়ে দেন দেন্দ্র ডটিন। ইনিংসের ১৬তম ওভারে লিয়া তাহুহুকে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে আশার সঞ্চার করেন ক্যারিবীয় শিবিরে। তাতে জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৩৪ রানের।
তবে ১৭তম ওভারে আক্রমণে এসে ডটিনকে আর রোমাঞ্চ ছড়ানোর সুযোগ দেননি অ্যামেলিয়া কের। ২২ বলে ৩৩ রান করে কেরের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ডটিন। হাফ ছেড়ে বাঁচে কিউইরা। যদিও শেষদিকে অ্যাফি ফ্লেচার ও জাইদা জেমস ম্যাচ ফের জমিয়ে তুলেছিলেন। ৮ বলে ১৪ রান করে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন জেমস। জয়ের জন্য তখনো দরকার ছিল ১১ রানের। বোলার ব্যাটস অবশ্য তাদের সে সুযোগ দেননি। ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রানে থামতে হয় ক্যারিবীয়দের।
কিউইদের হয়ে ২৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ইডেন কার্সন। ২ উইকেট নেন কের।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করেছিল নিউজিল্যান্ড। ২৮ বলে সুজি ব্যাটসের ২৬ এবং জর্জিয়া প্লিম্মারের ৩১ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে ভালো শুরু পেয়েছিল কিউইরা। ৯ বলে ১৮ রান করে ব্রুকি হ্যালিডে আর ১৪ বলে ২০ রান করে ইসাবেলা গেজ রানের গতি বাড়ান। বাকিরা খুব একটা দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। ক্যারিবীয়দের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন ডটিন।
২০০৯ সালে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আসরের পর ২০১০ সালেও ফাইনাল খেলেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথমবার ইংল্যান্ড আর পরের বার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয় তারা। এরপর গত ১৪ বছরে আর ফাইনালে উঠতে পারেনি দলটি। সে অপেক্ষা কাটিয়ে চলমান আসরে তারা আবার জায়গা করে নিয়েছে শিরোপার মঞ্চে। প্রথমবার চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেতে আগামী ২০ অক্টোবর তাদের মোকাবিলা করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। যারাও একটি শিরোপার জন্য মুখিয়ে আছে।
আপনার মতামত লিখুন :