বিগত কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তান যেন পুরোপুরি ছন্দহীন। ঘরের মাঠে শেষ তিন বছরে কোনো সিরিজই জেতা হয়নি। সেই সঙ্গে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর থেকে ম্যান ইন গ্রিনদের নেই আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপাও।
তবে লাল বলের খেলায় ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের সাথে রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। কিন্তু নতুনত্বের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সাথে আর পেরে উঠলো না পাকিস্তান। এবার টাইগারদের থাবায় ‘বাংলাওয়াশ’ হলো বাবর-রিজওয়ানরা।
নিজেদের ঘরের মাঠে এমন হারের নজির আগে কেবল একবারই দেখেছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গন। সেটিও আবার দুই বছর পূর্বে ২০২২ সালে। সেবার ইংল্যান্ডের বাজবলের সামনে ৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানেই হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে।
আর এবার বাংলাদেশ তাদের উপহার দিলো তেমনই এক যন্ত্রণা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুই ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারায় ২-০ ব্যবধানে।
১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের টেস্ট যাত্রার শুরু। সেই সিরিজে শেষ হয় ড্রতে। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জেতে আব্দুল কাদের-হানিফ মোহাম্মদের দল।
মাঝে ক্রিকেট নির্বাসনের সময় বাদ দিয়ে পাকিস্তান ঘরের মাঠে খেলেছে ৫৮ টেস্ট সিরিজ। যার মাঝে প্রথম ৫৫ সিরিজেই অন্তত একটি ড্র করেছিল তারা। ৫৬তম সিরিজে এসে ছেদ পড়ে সেই ধারাবাহিকতায়। বাজবলের প্রবর্তক ইংল্যান্ডের কাছে ৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ তেই হেরে বসে পাকিস্তান।
মাঝে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা হয় ড্র। এরপরেই বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজে আবারও পাকিস্তান ভক্তরা দেখলেন দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজে দলের এমন ভরাডুবি।
বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজ হারে আরও এক পতনের বিন্দু দেখেছে দলটি। ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় দল হিসেবে ঘরের মাঠে টানা ১০ ম্যাচ জয়শূন্য আছে শান মাসুদ বাবর আজমরা। ঘরের মাঠে এরচেয়ে বাজে ফলাফলের রেকর্ড আছে কেবল বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের।
নিজেদের মাঠে শেষ ১০ টেস্টের মাঝে পাকিস্তান হেরেছে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে। মোট ৬ হারের পাশাপাশি আছে ৪ ড্র। ড্র এসেছে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে।
আপনার মতামত লিখুন :