বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আসন্ন নির্বাচনে প্রথমে সভাপতি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। কিন্তু ঘোষণা দেয়ার পর বেশ কিছুদিন তার দেখা পাওয়া যায়নি। মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ মুহুর্তে এসে সিনিয়ন সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি এবং জমা দেন প্রতিনিধির মাধ্যমে।
একই পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন বসুন্ধুরা কিংসের কর্ণধার ইমরুল হাসান। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ারদিন মিডিয়ার মুখোমুখি তরফদার রুহুল আমিন জানিয়েছিলেন, আলাপ-আলোচনা চলছে। সমঝোতা হলে হয়তো মনোনয়ন প্রত্যাহার করতেও পারি।
বাফুফে নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল আজ রোববার। গুঞ্জন ছিল এবারও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন তরফদার। হলোও তেমনটাই। প্রতিনিধি মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চিঠি দিয়েছেন তিনি। তবে কোন সমঝোতা করে নয়, বরং ৫টি গুরুতর অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রুহুল আমিন। তার মতে, এবারের বাফুফে নির্বাচন পুরোটাই প্রশ্নবিদ্ধ।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর লেখা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠিতে তরফদার রুহুল আমিন লিখেছেন, ‘আসন্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ২০২৪ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী পদ থেকে নিম্নলিখিত কারণে আমি আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলাম। কারণগুলো-
১. আইন না মেনে ডেলিগেট ফরম সরাসরি হাতে হাতে প্রদান করা।
২. ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ এবং বাফুফে থেকে বহিষ্কৃত সেক্রেটারি মো. আবু নাঈম সোহাগ কর্তৃক নির্বাচন বিধিমালা প্রকাশ ও বিতরণ।
৩. প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কমিশন গঠন। কারণ, উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পরপর ৫বার একই দায়িত্বে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
৪. নির্বাচন আয়োজনে স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করতে না পারা।
৫. নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা।
তরফদার রুহুল আমিন সরে দাঁড়ানোয় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান।
আপনার মতামত লিখুন :