বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গ বর্তমানে ক্রিকেটপাড়ায় হট টপিক। কারণ নাজমুল হোসেন শান্তর নিজেকে সরিয়ে নেওয়া এবং বিসিবির নতুন করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি- সব মিলিয়ে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সর্বশেষ বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার অনুপস্থিতিতে ওয়ানডে ও টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করেছেন সময়ের অন্যতম অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। এবার ঘরোয়া আসর বিপিএলেও তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন খুলনা টাইগার্সকে। তাছাড়া বয়সভিত্তিক দলেও বাংলাদেশকে লিড দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার। সবমিলিয়ে নেতৃত্ব উপভোগ করেন এই অলরাউন্ডার।
জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে মিরাজের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। যদি বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় আমাকে দেবে। দেখেন লিটন দাস অধিনায়কত্ব করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। খুব ভালো করেছে, দলকে ফল এনে দিয়েছে। যেহেতু বিপিএলে করছি, অভ্যাস হচ্ছে আমার। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো ফরম্যাটে সুযোগ আসলেই অভ্যাসের ব্যাপার। হুট করে করা কঠিন যেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজে হয়েছে। হুট করে করেছি শান্ত অসুস্থ হওয়াতে। এখন বিপিএলে ১২-১৪টা ম্যাচ করব আমি জানি। প্ল্যানিং করতে পারছি। হুট করে করা কঠিন।’
বিপিএলে ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর মিরাজ বলেন, ‘সুযোগ যখন আসে তখন উপভোগ করা জরুরি। যেহেতু আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজে করেছি এখানেও করছি। হয়ত এটা আমার জন্য নতুন না, অভ্যাসের ব্যাপার। অনেক দিন গ্যাপ দিলে মাঝেমধ্যে চিন্তা হয়, কন্টিনিউ করলে ভালো ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় তা করা যায়। আমি সবসময় উপভোগ করার চেষ্টা করি।’
অধিনায়কত্বে চ্যালেঞ্জ নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘কুইক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এখন আইসিসি যা করেছে। ১ মিনিটের মধ্যে ওভার চেইঞ্জ করা। এটাও কঠিন একটু। মাঝেমধ্যে ফিল্ড সেটাপ করতে হয়, এটা ১ মিনিটের মধ্যে নেওয়া কঠিন।’
আপনার মতামত লিখুন :