চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে শোকজ নোটিশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই সঙ্গে তাকে বরখাস্তের পথও খোলা রাখে। ২৪ ঘণ্টা পেরুনোর পরই ই-মেইলের মাধ্যমে সেই শোকজের জবাব দেন হাথুরু।
তবে সেটি মনঃপুত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত করেছে বিসিবি। সেই সঙ্গে তার সঙ্গে করা চুক্তিও বাতিল করা হয়েছে। যদিও হাথুরুর সঙ্গে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে বিসিবির পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুবাই থেকে জুম সংযোগে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। এছাড়া মিটিংয়ে নতুন কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, হাথুরু যদি আইনি পথে যান বিসিবি তা আইনিভাবেই মোকাবিলা করবে।
এদিকে বরখাস্ত হওয়ার একদিন পরে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন হাথুরু। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বিসিবি কর্তৃক আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের প্রসঙ্গে কথা বলতে এই চিঠিটি লিখছি। ২০২৩ বিশ্বকাপে এক খেলোয়াড়ের ওপর আক্রমণ এবং অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত ছুটি নেয়ার যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে সেটি আমার সততা এবং পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে এই অনুমানকে বাস্তব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে দিতে পারি না। আমি বিশ্বাস করি, আমাকে ঘিরে হওয়া ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা দেয়া এবং আমার পাশের গল্প জানানো জরুরি। ‘
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে চড় মারার অভিযোগের বিষয়টিকে বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়ে হাথুরু বলেন, ‘কথিত ঘটনাটি খেলোয়াড়দের ডাগআউট বা ড্রেসিং রুমে ঘটেছিল, এমন একটি জায়গা যা বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালীন সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে থাকে। সেখানে ৪০-৫০টি ক্যামেরা প্রতিটি মুহূর্তের দৃশ্য ধারণ করছে। আমি এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো অভিযোগকারী এবং সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ঘটনাটি এতোটাই মারাত্মক হতো, তাহলে ঐ খেলোয়াড় কেন অবিলম্বে টিম ম্যানেজার বা কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জানায়নি? আর যদি অভিযোগ করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আমাকে কেন প্রশ্ন করা হয়নি বা এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয়নি। এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে অভিযুক্ত ঘটনার কয়েক মাস পরে একজন ইউটিউবারের দ্বারা বিষয়টি সামনে আসে। ‘
অনুমতি ছাড়া ছুটি কাটানোর বিষয়টি অস্বীকার করে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘ছুটি নেয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ সেটিও স্পষ্ট করতে চাই। যখনই আমি ব্যক্তিগত ছুটি নিয়েছি তখনই ক্রমাগতভাবে সিইও এবং ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি এবং পেয়েছি। কখনই বিসিবি আমাকে বলেনি তারা আমার ছুটির বিষয়ে অখুশি। উল্টো আমি যখনই ছুটি চেয়েছি, বিসিবি সেটা মেনে নিয়েছে। কখনোই আমি তাদের অনুমতি ছাড়া ছুটিতে যাইনি।‘
আপনার মতামত লিখুন :