ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫

গুলিয়াখালী সবুজে বেষ্টিত এক সৈকত

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০১:১০ পিএম

গুলিয়াখালী সবুজে বেষ্টিত এক সৈকত

গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত

সমুদ্র সৈকত বলতে আমরা সাধারণত বুঝি একরাশ বালু ঢাকা সমুদ্রের তীর। তবে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত কিন্তু সেই বৈশিষ্ট থেকে একদমই ভিন্ন। চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত এই সৈকত স্থানীয় মানুষের কাছে  ‘মুরাদপুর বীচ’ নামেও পরিচিত। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে গুলিয়াখালী বীচের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার।

অনিন্দ্য সুন্দর সৈকতকে কে সাজাতে প্রকৃতি যেন কোন কার্পণ্য করেনি। একদিকে দিগন্তজোড়া সাগর জলরাশি আর অন্য দিকে কেওড়া বন এই সাগর সৈকতকে করেছে অনন্য। কেওড়া বনের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের চারিদিকে কেওড়া গাছের শ্বাসমূল লক্ষ করা যায়, এই বন সমুদ্রের অনেকটা ভেতর পর্যন্ত চলে গেছে। এখানে পাওয়া যাবে সোয়াম্প ফরেস্ট ও ম্যানগ্রোভ বনের মতো পরিবেশ।

গুলিয়াখালি সৈকতকে ভিন্নতা দিয়েছে সবুজ গালিচার বিস্তৃত ঘাস। সাগরের পাশে সবুজ ঘাসের উন্মুক্ত প্রান্তর নিশ্চিতভাবেই আপনার চোখ ও মন জুড়াবে। সৈকতের পাশে সবুজ ঘাসের এই মাঠে প্রাকৃতিক ভাবেই জেগে উঠেছে আঁকাবাঁকা নালা। এইসব নালায় জোয়ারের সময় পানি ভরে উঠে। চারপাশে সবুজ ঘাস আর তারই মধ্যে ছোট ছোট নালায় পানি পূর্ণ এই দৃশ্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে।

স্বল্প পরিচিত এই সৈকতে মানুষজনের আনাগোনা কম বলে আপনি পাবেন নিরবিলি পরিবেশ। সাগরের এত ঢেউ বা গর্জন না থাকলেও এই নিরবিলি পরিবেশের গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত আপনার কাছে ধরা দিবে ভিন্ন ভাবেই। এখানে গেলে দেখা মিলবে হরিণ, শিয়াল, বিষধর সাঁপ ও লাল কাঁকড়ার।

সীতাকুণ্ডের খুব কাছে হওয়ায়, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত যাওয়া আসা ও দেখার পরেও হাতে থাকবে অনেকটুকু যময়। এই সময় চাইলে সীতাকুণ্ডের আশেপাশের আরও অনেক দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন। 

গুলিয়াখালীর আশেপাশে ভ্রমণ স্থানগুলোর মধ্যে আছে—বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, চন্দ্রনাথ মন্দির ও পাহাড়, ঝরঝরি ঝরনা, কমলদহ ঝরনা, কুমিরা সন্দ্বীপ ঘাট, মহামায়া লেক, খৈয়াছড়া ঝরনা, নাপিত্তাছড়া ঝরনা, সহস্রধারা ঝরনা ইত্যাদি। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!