ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

কালের সাক্ষী ৬শ’ বছরের বাঁশবাড়ী মসজিদ

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে ঐতিহাসিক ৬শ’ বছরের পুরনো তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ।  ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী জামে মসজিদ নামেই পরিচিত। এটি  উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার মধ্যে অন্যতম। এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি উপজেলার হোসেগাঁও ইউনিয়ন ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামে অবস্থিত।

ঘনবসতিপূর্ণ  মনোরম পরিবেশে দাঁড়িয়ে থাকা ১৪২৫ সালে নির্মিত এই তিন গম্বুজ মসজিদটি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে। মাত্র ২২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯ ফুট প্রস্থের এ মসজিদের  মিনারসহ উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। মসজিদটির ভিতরে রয়েছে চুন সুরকির বাহারি ডিজাইনের নকশা একেকটি পাথরে খোদাই করা রয়েছে আরবি বর্ণমালা। কালের বিবর্তনে এখন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় মসজিদটির সাথে নতুন একটি অবকাঠামো সংযোজন করা হয়েছে। আগে ছোট্ট ঐ মসজিদের ভিতরে মাত্র ৩০-৪০ জন্য মানুষ নামাজ আদায় করতে পারতো এখন নতুন ঘর নির্মাণ করার ফলে অনেক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় ধর্ম প্রচারের জন্য এখানে আসেন বুড়া পীর নামে একজন বুজুর্গ ,তার স্ত্রী সন্তান কেউ ছিলেন না এখানে, একাই ঐ এলাকার কয়েকজন মুসল্লি নিয়ে নির্মিত করেন এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি ।
মসজিদটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে শুধু ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকে থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগই পারে এই শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনাটিকে রক্ষা করতে।

স্থানীয় বাসিন্দা অব: আর্মি রেজাউল করিম বলেন, এই মসজিদ সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি, এটি মোঘল আমলে নির্মিত হয়েছিল। 


আমাদের পূর্বপুরুষরাই এটি নির্মাণের পর থেকেই দেখাশোনা করে আসছেন। সে আমলে জনবসতী কম থাকায় ছোট পরিসরে নির্মিত হয় মসজিদটি। মাত্র ৩০থেকে ৪০ জন মুসল্লি দুই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতেন। এখন চারপাশে গড়ে উঠেছে জনবসতি। কিন্তু মসজিদটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার ফলে এটি প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়েছিল। ২০১০ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে মসজিদটির সংস্কার করা হয়।

মসজিদের সভাপতি ইয়াসিন আলী জানান, এই মসজিদটির ইতিহাস আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শুনে এসেছি এখানে একজন পীর এসেছিলেন তিনিই এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলো এবং তার মৃত্যুর পর মসজিদের পাশে তাকে কবর দেওয়া হয়েছে । তবে কেউ বলছে ৬ শত বছরের পুরনো আবার কেউ বলছে ৭ শত বছরের পুরনো,তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে কয়েকজন এসেছিলেন এখানে তারা ল্যাব টেস্ট করে বলেছেন এটি ৬০০ বছরের অধিক পুরনো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ।

তাহেরুল ইসলাম তামিম