বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ১২:১৪ পিএম

banner

বন্ধুদের সঙ্গে কোথায় ঘুরতে যাবেন?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ১২:১৪ পিএম

বন্ধুদের সঙ্গে কোথায় ঘুরতে যাবেন?

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। চির সবুজ এই দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসেন। বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও  ভ্রমণের জায়গা অনেক। 

সাগর, পাহাড়, স্থাপত্য– সবরকম পর্যটন আকর্ষণই আছে বাংলাদেশে। তাই বন্ধুদের সঙ্গে কোথায় ঘুরতে যাবেন? এরকমই জনপ্রিয় কিছু ভ্রমণ গন্তব্য তুলে ধরা হলো প্রতিবেদনে-

 

সাদা বালির সৈকত সেন্ট মার্টিন  
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন, তার নীল জলরাশি এবং সাদা বালির সৈকত দিয়ে মনমুগ্ধ করে। শীতের আগেই গেলে আবহাওয়া থাকবে আরামদায়ক, যা সমুদ্র উপভোগের জন্য আদর্শ। 

সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের সেরা সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। এসময় শীতের আমেজে আবহাওয়া একেবারে অনুকুল থাকে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা না থাকায় গরমের মৌসুমে ভ্রমণ খুবই কষ্টকর হয়।

আর বর্ষা মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টিতে উত্তাল সমুদ্রে নামার কথা ভাবাই যায়না! তাই শীত আসার আগে নভেম্বরের দিকে গেলে নিরিবিলি সবকিছু উপভোগ করতে পারবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, শীত মৌসুমে হোটেল ও রিসোর্টের চাহিদা বেশি থাকবে, তাই অনেক বেশি ভাড়া গুণতে হবে।

 

 সাগরকন্যা কুয়াকাটা

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মাত্র সমুদ্রসৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। সমুদ্রের পেট চিরে সূর্যোদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার।

 

রাতারগুল ‘সিলেটের সুন্দরবন’ 
রাতারগুল ‘সিলেটের সুন্দরবন’ নামে খ্যাত। এই রাতারগুলে বর্ষায় গাছের ডালে দেখা মিলে নানান প্রজাতির পাখি আবার তখন কিছু বন্যপ্রাণীও আশ্রয় নেয় গাছের ডালে। এছাড়াও শীতকালে এখানকার জলাশয়ে বসে হাজারো অতিথি পাখির মেলা। 
সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর (বর্ষার শেষের দিকে) পর্যন্ত রাতারগুল ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ রাতারগুল বনের ৫০৪ একর জায়গাকে বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে।
রাতারগুল একটি প্রাকৃতিক বন, স্থানীয় বন বিভাগ এখানে হিজল, বরুণ, করচসহ বেশ কিছু গাছ রোপণ করেন। এছাড়াও এখানে চোখে পড়ে কদম, জালিবেত, অর্জুনসহ প্রায় ২৫ প্রজাতির জলসহিষ্ণু গাছপালা। তাহলে দেখে আসুন প্রকৃতির সৌন্দয্যে ভরপুর রাতারগুল।

 

জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবন
বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন। জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবনের ১ হাজার ৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে আছে নদীনালা, বিল, রয়েল বেঙ্গল টাইগার’সহ বিচিত্র সব পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণী।
এখানে আরও আছে ৩৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রাজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ ধরনের সরীসৃপ এবং ৮ টি উভচর প্রাণী। সুন্দরী বৃক্ষের নামানুসারে এই বনের নাম সুন্দরবন রাখা হয়।

শীতকাল সুন্দরবন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। এছাড়াও সুন্দরবন গেলে দেখবেন জামতলা সৈকত, মান্দারবাড়িয়া সৈকত, হীরণ পয়েন্ট, কটকা বিচ ও দুবলার চর।

 

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নুহাশপল্লী
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ব্যক্তিজীবনে একজন সফল ও রুচিশীল মানুষ। লেখালেখির ভুবনে অন্যান্য লেখকদের চেয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর আর্থিক অবস্থা ছিল অনেক ভালো। তাঁর শৈল্পিক চিন্তার ফসল হল গাজীপুরের পিরুজ আলী গ্রামের নুহাশপল্লী। হুমায়ূন আহমেদের বড় ছেলে নুহাশ হুমায়ূনের নামানুসারে পল্লীটির নাম রাখা হয় ‘নুহাশপল্লী’। 

নুহাশপল্লীর উদ্যানের পূর্বদিকের খেজুর বাগানের পাশে ‘বৃষ্টিবিলাস’ নামে একটি অত্যাধুনিক ঘর রয়েছে। এর ছাদ টিনের তৈরি; যেন বৃষ্টি হলে শব্দ উপভোগ করা যায়। বৃষ্টির শব্দ শুনতে এই আয়োজন। সুন্দর নকশা, ফলস সিলিং দেওয়া ঘরটি অনেক সুন্দর।


একটু ভেতরে আরেকটি বাংলো রয়েছে যার নাম ‘ভূতবিলাস’। দুই কক্ষের আধুনিক বাংলোটির পেছনে ছোট পুকুর রয়েছে। যার চারিদিক সুন্দর ঘাসে মোড়া ঢাল দিয়ে ঘেরা, এই ঢালের চারিদিকে রয়েছে গাছ-গাছালি। ভূতবিলাসের পাশ দিয়ে একটি নড়বড়ে কাঠের সাঁকো রয়েছে। যেটার ওপর দিয়ে হেঁটে পুকুরের মাঝখানের ছোট্ট এক টুকরো দ্বীপাকারের ভূখণ্ডে যাওয়া যায়।

 

সমুদ্রের বেলাভূমির ছোট সংস্করণ মিনি কক্সবাজার
মৈনট ঘাটকে বলা হয় ‘মিনি কক্সবাজার’। সমুদ্রের বেলাভূমির ছোট সংস্করণ এটি। সূর্যাস্ত দেখার দারুণ অভিজ্ঞতা নিতে পারেন।  ঢাকার দোহার উপজেলার পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর কোলে মৈনট ঘাট। ঢাকা থেকে দূরত্ব প্রায় ৫৬ কিলোমিটার।

নদীর অপর পাড়ে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন। মৈনট ঘাটের এই হঠাৎ খ্যাতি ঘাটের দক্ষিণ পাশের চরটির জন্য। পথিমধ্যে পড়বে লক্ষ্মীপ্রাসাদ, জজবাড়ি, উকিলবাড়ি, আন্ধার কোঠা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান। শুকনো মরিচের সঙ্গে ডুবো তেলে ইলিশ ভাজা এই ঘাটের অন্যতম আকর্ষণ।


বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যের দ্বীপ চর কুকরি মুকরি
ভোলা জেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত একটি দ্বীপ কুকরি মুকরি। বর্ষায় ডুবে থাকলেও শীতে এই চর ভেসে ওঠে। বাংলাদেশের অন্যতম সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও বৃহৎ বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এই দ্বীপ ৷

নাম না জানা অসংখ্যা গাছ ও সারি সারি নারিকেল গাছ সাথে বিশাল বালুময় চর দেখলে আপনার মনে হবে সৈকতে দাঁড়িয়ে আছেন। চাইলে ক্যাম্পিং করে রাত্রিযাপনও করতে পারেন দ্বীপে।


হিমালয় কন্যাখ্যাত পঞ্চগড়
বাংলাদেশের হিমালয় কন্যাখ্যাত জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাদদেশে জেলাটির ভৌগলিক অবস্থান হওয়ায় পঞ্চগড়কে বলা হয় হিমালয় কন্যা। কাঞ্চনজঙ্ঘা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত। প্রতিবছর শীতের সময় বাংলাদেশ থেকে দেখা মেলে এই পর্বতের।

পঞ্চগড় ও তেতুলিয়া থেকে স্পষ্টভাবে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখা মেলে পর্বতের। শীতের আকাশ মেঘমুক্ত ও পরিষ্কার থাকায় ভেসে ওঠে তুষারশুভ্র হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা।

তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের সরকারি ডাকবাংলো চত্বর কিংবা জিরো পয়েন্ট থেকে দেখা মেলে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পর্বতের। পাশাপাশি স্পষ্টভাবে দার্জিলিংয়ের সবুজে ঘেরা পাহাড় শ্রেণীও দেখা যায়।


টাঙ্গাইলের মহেরা জমিদার বাড়ি
টাঙ্গাইলে ঘুরার মতন অনেক জায়গা আছে তার মধ্যে মহেরা জমিদার বাড়ি সবচেয়ে সুন্দর। এটি তিনটি স্থাপনা নিয়ে তৈরি। বাড়ির ভেতরের দিকে বিশাল খাঁচায় বিভিন্ন রকম পাখি পালা হয়।  

টাঙ্গাইলের জমিদার বাড়ি দেখতে হলে খুব সকালে বাসা থেকে বের হতে হবে। কারণ যেতে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা লাগবে। মহাখালি থেকে “ঝটিকা সার্ভিস” নামে বাস ছাড়ে। এছাড়া টাঙ্গাইলা যাওয়ার আরো বেশ কিছু ভাল বাস আছে।

মহেরা জমিদার বাড়ির বর্তমান নাম মহেরা পুলিশ ট্রেইনিং সেন্টার। ওখানে যেতে হলে নামতে হবে নাটিয়া পাড়া বাস স্ট্যান্ড এ। সময় লাগবে ২ থেকে ২.৩০ ঘন্টার মত। নেমে একটা অটো রিকশা নিয়ে যেতে হবে। রিক্সায় করে সরাসরি মহেরা জমিদার বাড়িতে যাওয়া যাবে। ভাড়া ২০-৩০ টাকা। জমিদার বাড়ি ঢুকতে টিকেট কিনতে হবে,জন প্রতি ২০টাকা।

 

মেঘের আঁচল ‘নীলাচল’
বান্দরবান শহরের সবচেয়ে কাছে সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬শ’ ফুট উঁচু এ পর্যটন কেন্দ্র। বর্ষায় এ জায়গা থেকে মেঘ ছোঁয়া যায়। বান্দরবান জেলা পরিষদের উদ্যোগে গড়ে তোলা মনোরম এ পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের থাকার জন্য রিসোর্টও আছে।

বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়া এলাকায় পাহাড়ের গায়ে গায়ে লাগোয়া জায়গায় পর্যটকদের জন্য আছে নানা ধরণের ব্যবস্থা। শহর ছেড়ে চট্টগ্রামের পথে প্রায় তিন কিলোমিটার চলার পরেই হাতের বাঁ দিকে ছোট একটি সড়ক এঁকেবেঁকে চলে গেছে নীলাচলে।

এ পথে প্রায় তিন কিলোমিটার পাহাড় বেয়ে তাই পৌঁছুতে হয়। মাঝে পথের দুই পাশে ছোট একটি পাড়ায় দেখা যাবে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষের বসবাসও। 

 

সবচেয়ে বড় ভাসমান পেয়ারা বাজার
বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের সিমান্তবর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছে এশিয়ার বৃহত্তম পেয়ারা বাগান। ঝালকাঠী জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভিমরুলিতে আছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভাসমান পেয়ারা বাজার।

তিন দিক থেকে আসা খালের মোহনায় বসে এ ভাসমান পেয়ারা বাজার। জুলাই ও আগস্ট মাস পেয়ারার মৌসুম হলেও মাঝে মাঝে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে ভাসমান পেয়ারার বাজার। সবচেয়ে মজার বেপার হচ্ছে- এ বাজারে আসা সব নৌকার আকার ও নকশা প্রায় একই রকম। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!