মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

বাকি ৪ রাতে খুঁজতে হবে পবিত্র লাইলাতুল কদর

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

বাকি ৪ রাতে খুঁজতে হবে পবিত্র লাইলাতুল কদর

ছবি: সংগৃহীত

লাইলাতুল কদর বা শবে কদর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাতগুলোর একটি। এটি এমন এক রাত যা এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই রাতে আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য বান্দাকে গুনাহ থেকে মুক্তি দেন এবং তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।

নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত; তার দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত; এর শেষ ১০ দিন হলো নাজাত। আজ শনিবার (২২ মার্চ) দিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রমজানের শেষার্ধ নাজাত’এর দশক।

এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)

পরবর্তী ২৩ বছরে বিভিন্ন সূরা বা সূরার অংশবিশেষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা ও অবস্থার প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর ওপর অবতীর্ণ হয়।

‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।

তবে মর্যাদার রাতটি পাওয়া এতো সহজ নয়। কঠিন কিন্তু ঈমানদারগণ যদি নেক দিলে ইবাদাত করে, মহান আল্লাহ অবশ্যই পুরস্কার দিবেন।

এ রাতটি রমাযানের শেষ দশকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর।’’ (বুখারী : ২০২০; মুসলিম : ১১৬৯)

মহিমান্বিত এ রাতকে আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে সুপ্ত রেখেছেন। তিনি এটাকে সুনির্দিষ্ট করেননি। রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে এ রাতের অনুসন্ধান করতে বলেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করো।’ (বুখারি: ২০১৭)

পবিত্র কোরআনের অন্য স্থানে এ রাতকে বরকতময় রাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে; তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি: ১৯০১)

মূলত, ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এই পাঁচ বেজোড় রাতে যদি পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে কোন বান্দা মহান আল্লাহ’র সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করেন, তাহলে সেই বান্দার ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম হিসেবে মালিক আল্লাহ গ্রহণ করবেন।

এর মধ্যে প্রথম বেজোড় রাত অর্থাৎ ২১ মার্চ (শুক্রবার রাত) শেষ, বাকি ৪ রাতে খুঁজতে হবে পবিত্র লাইলাতুল কদর। যার মানে, ২৩ মার্চ (রোববার রাত), ২৫ মার্চ (মঙ্গলবার  রাত), ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার রাত) এবং ২৯ মার্চ (শনিবার রাত)-এই ৪টি রাতই মমিনদের জন্য হাজার রাতের থেকে উত্তম রাত খোঁজার মোক্ষম সময়।

মালিক আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, যেই বান্দা সৎ নিয়তে এবং সৎভাবে সালাত পড়ে এই রাতের সন্ধান করবে, তার জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার। ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ যা বলেছেন, সত্য বলেছেন

আরবি/এসআর

Link copied!