বৈশাখের শুরুতে দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির দেখা মিললেও ফের বেড়েছে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ অবস্থায় কিছুটা স্বস্তির বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের চারটি বিভাগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যান্য অঞ্চলে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে এবং আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা।
রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ ছাড়াও মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যত্র আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক এবং আংশিক মেঘলা। তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী অঞ্চল এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে; রাতের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পাবে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু’একটি জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা ও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বজায় থাকতে পারে। তবে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বেড়ে গেলে কিছুটা স্বস্তি মিলবে।