মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ০১:৪৩ এএম

স্থবির মাতৃভাষায় পাঠদান কার্যক্রম

উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ০১:৪৩ এএম

স্থবির মাতৃভাষায় পাঠদান কার্যক্রম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দেশের পাঁচ ভাষার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় পাঠদান কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। অথচ বিগত নয় বছর ধরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে এসব বই দিচ্ছে। প্রশিক্ষিত শিক্ষক সংকট ও ক্লাসে পড়ানোর রুটিন না থাকায় প্রথম থেকেই গতি ছিল না এই কার্যক্রমে। এর ফলে বই বিতরণের জন্য সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হলেও মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগে সফলতা আসেনি। 

এই কার্যক্রমকে সফল করতে শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ ক্লাস রুটিনে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নৃগোষ্ঠী থেকে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এনসিটিবি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, তিন পার্বত্য জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও এসব অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মাতৃভাষায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঠদান কার্যক্রমে গতি ফেরাতে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৫-এর মাধ্যমে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঠ্যপুস্তক : প্রণয়ন, বিতরণ ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেছে এনসিটিবি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ নির্বাহী, ভাষা বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা সেমিনারে উপস্থিত থাকবেন।   

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রস্তাব করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করে। সিদ্ধান্ত হয়, প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নিজেদের ভাষায় পড়াশোনা করবে শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় শ্রেণি থেকে তাদের বাংলা শেখানো হবে। এরপর ২০১৭ সালে মারমা, চাকমা, গারো, ত্রিপুরা ও সাদরী ভাষার নৃগোষ্ঠীর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের তাদের মাতৃভাষায় ‘আমার বই’ ও ‘এসো লিখতে শিখি’ বই দেওয়া হয়। এরপর ২০১৮ সাল থেকে প্রথম শ্রেণিতে বাংলা ও গণিত, ২০১৯ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে বাংলা ও গণিত এবং ২০২০ সালে তৃতীয় শ্রেণিতে বাংলা বই দেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব শিক্ষার্থী বাস করলেও তিন পার্বত্য জেলায় মারমা, চাকমা ও ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
 
চলতি শিক্ষাবর্ষে উল্লিখিত পাঁচটি ভাষার ৮৪ হাজার ১৫৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৯২ হাজার ৮২৫ কপি বই বিতরণ করেছে এনসিটিবি। বিগত ৮ বছরের বই বিতরণের সংখ্যা গড়ে দেড় থেকে দুই লাখের মতো ছিল বলে জানিয়েছে সূত্র। জানা গেছে, নিজ ভাষায় শিক্ষা লাভের জন্য মূলত শোনা, বলা, পড়া ও লেখা এই চারটি দক্ষতার (স্কিল) প্রয়োজন হয়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা জন্মের পর স্বাভাবিকভাবে ঘর থেকেই ভাষাটি শুনে বোঝার দক্ষতা অর্জন করলেও লিখতে ও পড়তে পারে না। 

তিন পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যের এসব বই সংগ্রহ করা হলেও ব্যবহার হয় না বললেই চলে। ব্যতিক্রম হলেও দু-একটি স্কুল বই নেওয়ার জন্য চাহিদা দেওয়ারও আগ্রহ পায় না। চাহিদা অনুযায়ী আনা বই স্কুলের অফিস কক্ষেই থেকে যায়। অনেক স্কুলেই এসব ভাষা পড়ানোর মতো প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই। আবার যেসব স্কুলে নৃগোষ্ঠীর শিক্ষক রয়েছেন, তারা কথা বলতে পারলেও বর্ণমালা পড়তে ও লিখতে পারেন না। শিক্ষার্থীর অভিভাবকরাও যেহেতু পড়তে ও লিখতে পারেন না, তাই বাসায় বই নেওয়ারও কোনো আগ্রহ থাকে না। এ ছাড়া একটি ক্লাসে একাধিক ভাষার নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী থাকলে তাদের কীভাবে পড়ানো হবে, এসব নিয়েও সমস্যা রয়েছে। এসব নানা সমস্যায় মাতৃভাষায় শিক্ষাকার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ায় নৃগোষ্ঠীর শিক্ষাথীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো বাংলা বই দিয়ে পড়াশোনা করছে।

ভাষা শিক্ষা আর ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা দুটো আলাদা বিষয় মন্তব্য করে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ওদের শিক্ষা কারিকুলামে খুব বেশি এমফেসিস  (জোর) দেওয়া হয়নি। জন্মগত কারণে ওরা ভাষাটি শুনে অভ্যস্ত। ভাষাটি বোঝে এবং কথাও বলতে পারে। কিন্তু বর্ণমালা না চেনার কারণে পড়তে পারে না, লিখতে পারে না। এমনকি নৃগোষ্ঠীর শিক্ষকরাও এটি পারেন না। 

খাগড়াছড়ি জেলার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই তিন নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, অথচ এই ভাষা পড়ানোর মতো প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই। আবার নেপের (প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি) রুটিনেও ওদের ক্লাসের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। স্কুলগুলো কখনো মাসের এক অথবা দুই বৃহস্পতিবারে সংগীত বা খেলাধুলা ক্লাসগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের ভাষায় পাঠদানের চেষ্টা করছে। 

মাতৃভাষায় পাঠদানের মাধ্যমে নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ কার্যক্রমকে সফল করতে হলে শিক্ষক সংকট দূর করা ও বড় আকারে শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
 
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুস্মিতা ত্রিপুরা বলেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে শিক্ষক থাকলেও পড়াতে পারছে না। আবার অনেক স্কুলে শিক্ষকও নেই। এ জন্য বড় আকরে ভাষা শিক্ষার প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। অন্যদিকে নেপের দেওয়া রুটিনেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে সময়েরও সংকট রয়েছে। নানামুখী সংকটে ভালো উদ্যোগটি সফলতা পাচ্ছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকায় নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তারা জানান, নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা এখন বাংলাতেই সাধারণ শিক্ষর্থীদের মধ্যে পড়াশোনা করছেন।

বান্দরবানের লামা উপজেলার সাবেক বিলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থোয়াই নু মার্মা নিজেও মারমা নৃগোষ্ঠীর মানুষ। বাংলা ভাষায় পড়াশোনা করায় মাতৃভাষায় পড়তে লিখতে পারলেও ততটা দক্ষ নন বলে জানান তিনি। বাংলায় পড়তে গিয়ে নিজস্বতা হারিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমিও আমার ভাষা বেশি ভালো পারি না। 

থোয়াই নু মার্মা জানান, এই স্কুলের ১৩৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৯ জন রয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। এদের মধ্যে চাক ও মুরো কয়েকজন থাকলেও বেশির ভাগই মারমা নৃগোষ্ঠীর। নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সংকট চলছে মন্তব্য করে এই প্রধান শিক্ষক বলেন, বিষয়টিকে নেতিবাচক ভাবে না দেখে ইতিবাচকভাবে সংকটের মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের দেওয়া রুটিনে এই ক্লাস নেওয়ার শিডিউল নেই। শিডিউলে না থাকায় ক্লাস করানোর জন্য সময় বের করা সমস্যা। মারমা ভাষায় আমাদের প্রশিক্ষিত একজন শিক্ষক রয়েছেন। তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার রুটিন ক্লাসের বাইরে এই বিষয়ে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমার পক্ষ থেকে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে ক্লাস রুটিনে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করলে ভালো হয় বলে তিনি মনে করেন।

একই উপজেলার দরদরিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্যাছিং মে মার্মা বলেন, এই স্কুলে শিক্ষার্থী রয়েছে ১২০ জন। শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন। নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ভাষায় পড়ানোর জন্য কোন শিক্ষক নেই। তাই নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতোই পড়াতে হচ্ছে।

গত বছর নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় পড়ানোর জন্য এনসিটিবি ২৫ জন শিক্ষককে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয় বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃষীকেশ শীল। পরবর্তী সময়ে এই মাস্টার ট্রেইনাররা পাহাড়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো হয়নি। হয়তো শিগগিরই এটি হবে। এই জেলার ১০টি উপজেলায় ৭০৭টি স্কুল রয়েছে।

এই শিক্ষা কার্যক্রম প্রত্যাশিতভাবে চলছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমার পর্যবেক্ষণে যেটা মনে হয়েছে, শিক্ষার্থীরা জন্মগতভাবে নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারলেও বর্ণমালা না চেনার কারণে পড়তে ও লিখতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে এই শিক্ষার্থীরা তুলামূলকভাবে বাংলা ভাষায়ই  পারদর্শী। স্কুলগুলো রুটিন অনুসরণ করেই পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই রুটিনের মধ্যেই নৃগোষ্ঠীর ভাষার বইগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বান্দরবান জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা স্থবিরই বলা যায়। নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরাও বাংলা শিক্ষার সঙ্গে নিজেদের রূপান্তর করছে। শিক্ষার্থী ও নৃগোষ্ঠীর শিক্ষক কেউই বর্ণগুলো চেনে না। তবে রোয়াংছড়িতে তঞ্চ্যঙ্গা নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাতৃভাষা কমবেশি পড়াশোনা করতে পারলেও মারমারা একেবারেই পারে না। 

সংকট কাটাতে ব্যাপক আকারে শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদেরও মাতৃভাষা সংরক্ষণের জন্য তাদের অংশগ্রহণ কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। 

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেলের উপপরিচালক মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, এই কার্যক্রমে একটি গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হয়েছে সত্যি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এ জন্য পিইডিপি-৫-এর আওতায় শিক্ষার মূল ধারার সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষা কার্যক্রমকে কীভাবে ব্রিজিং (বন্ধন) করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এ বিষয়ে এনসিটিবিও একটি কর্মশালার আয়োজন করছে। সেখান থেকেও এ বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ পাওয়া যাবে। তবে এ বিষয়ে সবাইকে একই চেন্তা-চেতনা ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে হলিস্টিক (সামগ্রিক) এপ্রোচ (পন্থা) গ্রহণ করতে হবে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরী। তিনি বলেন, কাজ শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।    
 

Link copied!