সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

প্রেমিকার দেহ কেটে ডাস্টবিনে ফেললেন প্রেমিক

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

প্রেমিকার দেহ কেটে ডাস্টবিনে ফেললেন প্রেমিক

প্রেমিকাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রেমিক। ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার ফ্লোরিডায় ১৬ বছর বয়সি প্রেমিকার মুখে বিলিয়ার্ডের বল ঢুকিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক এবং তাঁর সঙ্গিনীর বিরুদ্ধে। পুলিশ দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অভিযুক্তদের বয়ান থেকে প্রাপ্ত তথ্যসূত্র ধরে কিশোরীর দেহাংশ খুঁজছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফ্লোরিডার বাসিন্দা মিরান্ডা করসেটের সঙ্গে ডেটিং অ্যাপে আলাপ হয় ৩৫ বছর বয়সি স্টিভেন গ্রেসের। আলাপের পর দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। গত ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে প্রথম বার দেখা করেন দু’জনে। ১৪ ফেব্রুয়ারি স্টিভেনের সঙ্গেই তার বাড়িতে যায় মিরান্ডা। সারা দিন সেখানে কাটায়। সে বাড়িতেই ছিলেন স্টিভেনের সঙ্গিনী মিশেল ব্র্যান্ডেসও। পরের দিন, অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি মিরান্ডা তার নানির বাড়ি ফিরে যায়, কিন্তু দিন দুয়েকের মধ্যেই আবার স্টিভেনের বাড়িতে চলে আসে। তার পর থেকে সেখানেই থাকতে শুরু করে সে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি, মিরান্ডার সঙ্গে স্টিভেন এবং মিশেলের মনোমালিন্য শুরু হয়। তারা সে কিশোরীর বিরুদ্ধে আংটি চুরির অভিযোগ তোলেন। তার পর থেকেই মিরান্ডাকে বাড়িতে আটকে রাখেন স্টিভেন। সেই সময় তার উপর নানা ভাবে অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। মিরান্ডার মুখে বিলিয়ার্ড বল ঢুকিয়ে বাইরে থেকে প্লাস্টিক দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় মিরান্ডার।

তদন্তকারী অনুমান, ২০ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনও এক দিন মিরান্ডাকে খুন করা হয়। তার পর তার দেহ অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে যান স্টিভেন এবং মিশেল। সেখানেই মিরান্ডার দেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করে কাটেন। পরে প্যাকেটে ভরে দেহাংশগুলি একটি ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসেন স্টিভেন।

২০ ফেব্রুয়ারির পর থেকে নাতনির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তার নানি। নানা জায়গায় খোঁজখবর শুরু করেন। খুঁজে না পেয়ে গত ৬ মার্চ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সেন্ট পিটার্সবার্গের পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে।

মিরান্ডার শেষ গতিবিধি খতিয়ে দেখেই খোঁজ পান স্টিভেনের বাড়ির । সেখান থেকেই তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গিনী মিশেলকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন তাঁরা। কী ভাবে মিরান্ডাকে খুন করেছেন এবং তার পর কী ভাবে দেহ লোপাট করার চেষ্টা করেছেন, তা-ও পুলিশকে জানিয়েছেন স্টিভেনরা। 

সেই সূত্র ধরেই মিরান্ডার দেহাংশ খুঁজছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেই জানা গেছে। 

আরবি/এসএম

Link copied!