মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম

‘অদৃশ্য’ আতঙ্কের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প!

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম

‘অদৃশ্য’ আতঙ্কের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প!

ছবি: ইন্টারনেট

মার্কিন বিমানবাহিনীর জন্য পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিমানটি প্রস্তুত করবে বিশ্বখ্যাত বিমান নির্মাতা কোম্পানি বোয়িং।

নতুন প্রজন্মের বিমানটির নাম দেওয়া হয়েছে এফ-৪৭। ট্রাম্প এই বিমানগুলো শত্রুর জন্য ‘অদৃশ্য’ আতঙ্ক হবে বলে জানিয়েছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বোয়িং কোম্পানিকে এই যুদ্ধবিমান নির্মাণের ঠিকাদারি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সেখানে তিনি বিমানটি সম্পর্কে বলেন, ‘এগুলোর ক্ষমতা হবে অভূতপূর্ব। আমেরিকার শত্রুরা কখনোই (এগুলোকে) আসতে দেখবে না।’

যুদ্ধবিমানটির প্রশংসা করে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে এর ধারেকাছেও কিছু নেই।’

নতুন প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমানটির নাম এফ-৪৭ রাখার পেছনে বিশেষ কারণও আছে। সেটি হলো ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট। আর তাই এই নাম নেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘জেনারেলরা একটি নাম বেছে নিয়েছেন এবং এটি একটি সুন্দর সংখ্যা।’

নেক্সট জেনারেশন এয়ার ডমিন্যান্স বা এনজিএডি নামে পরিচিত এফ-৪৭ উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমানের ধারাবাহিকতা। অনুমান করা হচ্ছে, অতীতের সব প্রযুক্তির সঙ্গে এটিতে আরও বেশ কিছু বাড়তি প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে।

যদিও এই যুদ্ধবিমানটি সঠিক স্পেসিফিকেশন বা বৈশিষ্ট্য, দেখতে কেমন হবে বা সক্ষমতা কেমন হবে সে বিষয়ে খুব কমই জানা যায়। তবে ট্রাম্প আভাস দিয়েছেন, ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানটি রাডারে ‘প্রায় অদৃশ্য’ হবে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মতে, প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, এই বিমানটি নির্মাণের খরচ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে সামরিক বিষয়ক ব্লগ সাইট দ্য ওয়ার জোন জানিয়েছে, চূড়ান্ত মূল্য কয়েক শ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।

যুদ্ধবিমানগুলো কিনতে পেন্টাগন কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করবে সে বিষয়ে ট্রাম্পও কোনো ইঙ্গিত দেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকগুলোর জন্য অর্ডার দিয়েছি। আমরা দাম বলতে পারি না।’

বোয়িংয়ের জন্য এই ঘোষণা এক বড় জয়। একের পর এক জনসংযোগ সংকট এবং কর্মক্ষম ব্যর্থতা থেকে পুনরুদ্ধার করতে সংগ্রাম করতে থাকা এই কোম্পানির জন্য এটি আর্থিক পুনরুদ্ধারের একটি বড় সুযোগ।

২০১৮ এবং ২০১৯ সালে ৭৩৭ ম্যাক্স বিধ্বস্ত হওয়া, ২০২৪ সালে দরজার প্লাগ ফেটে যাওয়া এবং কেসি-৪৬ রিফুয়েলিং ট্যাংকার প্রোগ্রামের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলোর কারণে কোম্পানির সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই শুক্রবার বোয়িংয়ের শেয়ার প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে বৃহত্তম প্রতিযোগী লকহিড মার্টিনের শেয়ার প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে। লকহিড মার্টিন এফ-৩৫ জেট তৈরি করে থাকে, যা এখনো মার্কিন বিমানবাহিনীর মেরুদণ্ড।

তবে এফ-৩৫-এর সমালোচনা আছে। বিশেষ করে ট্রাম্পের মিত্র ইলন মাস্ক এফ-৩৫-কে ‘একটি ব্যয়বহুল এবং জটিল সর্বগুণ সম্পন্ন, কিন্তু কোনোটিতেই পারদর্শী নয়’ বলে অভিহিত করেছেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, নতুন যুদ্ধবিমানগুলো সামরিক বিমান চালনায় বিশ্ব নেতা থাকার আমেরিকার অঙ্গীকার সম্পর্কে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে। তিনি বলেন, নতুন যুদ্ধবিমানটি ‘আমাদের মিত্রদের কাছে একটি খুব স্পষ্ট, সরাসরি বার্তা পাঠায় যে—আমাদের দিন ফুরিয়ে যায়নি।’

আরবি/এসএম

Link copied!