মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৫, ০৯:০৭ এএম

ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৫, ০৯:০৭ এএম

ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় ৩০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) গায়ানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। শুক্রবার (২৮ মার্চ) এ খবর প্রকাশিত হয়।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই এই কাজ করছি। যখনই এই উন্মাদ (বিক্ষোভকারী) শিক্ষার্থীদের কাউকে পাচ্ছি, তাদের ভিসা বাতিল করছি।’

তিনি আরও জানান, এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাবে।  

তিনি অভিযোগ করেন যে, শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ নষ্ট করছে। তার ভাষায়, ‘আমরা এই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ দিতে ভিসা দিয়েছি, আন্দোলনকর্মী হতে নয় বা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ক্ষতিগ্রস্ত করতে নয়।’

ভিন্ন মত দমনে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতি

ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশেষ করে ইসরায়েল ইস্যুতে ভিন্নমত পোষণকারী বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার ও জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে এবং এখানে এসে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়, তাদের ভিসা আমরা বাতিল করবো।’

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী (First Amendment) বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিলেও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এটি বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক মতবিরোধ রয়েছে।  

সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটসের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের তুর্কি ডক্টরাল শিক্ষার্থী রুমেইসা ওজতুর্ককে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে অভিবাসন কর্মকর্তারা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পত্রিকায় গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। যদিও তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক অভিযোগ নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, তিনি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে সমর্থন করেছেন।

এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন: কংগ্রেস সদস্য প্রেসলি

রুমেইসার গ্রেপ্তার নিয়ে ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য আয়ান্না প্রেসলি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন।’

তিনি অভিযোগ করেন, ট্রাম্প প্রশাসন বৈধ প্রক্রিয়ায় থাকা শিক্ষার্থীদের অপহরণ করছে। তিনি রুমেইসাকে রাজনৈতিক বন্দি বলেও উল্লেখ করেন।  

এর আগে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি থাকা ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খালিল ও ভারতীয় গবেষক বদর খান সুরিসহ অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অপরাধের অভিযোগ নেই, আদালত তাদের ডিপোর্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র: পলিটিকো 

আরবি/এসএস

Link copied!