যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ পতন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে। বিশেষ করে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শেয়ারবাজারে টানা দ্বিতীয় দিনেও পতন অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাব পড়তে থাকে মার্কিন কোম্পানির শেয়ারেও। নাইক, অ্যাপল ও টার্গেটের মতো বড় ভোক্তা পণ্য নির্মাতার শেয়ারদামের ৯ শতাংশেরও বেশি পতন ঘটে।

জনমানবহীন দ্বীপেও ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ!

বিস্তারিত পড়ুন

এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বিনিয়োগ স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ট্রাম্পের শুল্ক নীতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আশঙ্কা করছে, এই পদক্ষেপের ফলে চলতি বছরে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১ শতাংশ কমে যেতে পারে। 

বিনিয়োগকারীরা শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কা করছেন।

এদিকে, শুক্রবার সকালে এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোতে ব্যাপক পতন দেখা গেছে। জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক ১.৮ শতাংশ কমে গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি সূচক প্রায় ১ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়ার এএসএক্স ২০০ সূচক ১.৪ শতাংশ কমে গেছে।

সরকারি দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক

বিস্তারিত পড়ুন

ডাও জোন্স সূচক ৪ শতাংশ এবং প্রযুক্তি শেয়ারভিত্তিক নাসডাক ৬ শতাংশ কমে গেছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বিক্রির ঢল অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়া, যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০ সূচক ১.৫ শতাংশ কমেছে এবং ইউরোপের অন্যান্য শেয়ারবাজারগুলোতেও পতনের ঝুঁকি রয়েছে। 

বিশ্বজুড়ে এই শেয়ারবাজারের ধস ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতির দীর্ঘমেয়াদি অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন। 

সূত্র: বিবিসি