মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম

রয়টার্স ও ইপসসের জরিপ

কমে গেছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম

কমে গেছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইপসস পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপের ফল অনুযায়ী, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমে ৪৩ শতাংশে নেমে এসেছে—যা তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।

জরিপ অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু সিদ্ধান্ত—বিশেষ করে আমদানি শুল্ক আরোপ ও ইয়েমেনে সামরিক হামলার তথ্য ফাঁস নিয়ে মার্কিন জনগণের মধ্যে স্পষ্ট অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। 

এসব ইস্যু তাঁর জনপ্রিয়তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিক রক্ষণশীল নীতিমালার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী অবস্থান বর্তমান প্রশাসনের প্রতি আস্থায় চিড় ধরিয়েছে। 

এই পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউস এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপের ফলাফলের বিষয়ে কোনো মন্তব্য দেয়নি।

রয়টার্স ও ইপসসের এই জরিপটি তিন দিন ধরে চালানো হয়েছে। জরিপের কাজ শেষ হয় গত বুধবার। 

এর আগে গত ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা নিয়ে আরেকটি জরিপ চালানো হয়। তখন ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ছিল ২ শতাংশ বেশি—৪৫ শতাংশ।

বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, তরুণ এবং স্বাধীন (independent) ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন ট্রাম্প। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পরপরই তাঁর জনপ্রিয়তা সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ ছিল।

প্রথম মেয়াদে তাঁর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে তলানিতে পৌঁছায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে—৩৩ শতাংশ। সে হিসাবে প্রথম মেয়াদের বেশির ভাগ সময়ের তুলনায় বর্তমানে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বেশি।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন। তাঁর সবচেয়ে কম জনপ্রিয়তা ছিল ৩৫ শতাংশ। গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে করা এক জরিপে ওই চিত্র উঠে এসেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে এবারের জরিপে ট্রাম্পকে কম নম্বর দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। এ ক্ষেত্রে তিনি ৩৭ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি–সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে ট্রাম্প যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে ৩০ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন তিনি। জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন বাইডেনও।

যাঁরা জরিপে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অঙ্গশগ্রহণকারী (৫২ শতাংশ) এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত যে বুধবার ট্রাম্প যে নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করছেন, তার একটি অংশে যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে তাদের কাছের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

আর বাকিরা বলেছেন, শুল্ক বাড়ানোর ফলে ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। তবে জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মার্কিন এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের বেশির ভাগই ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক। 

শুল্ক আরোপের ফলে ক্ষতি হবে—এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন তারা।

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৭৪ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে ইয়েমেনে হামলার পরিকল্পনা আলোচনা করা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। অনেকের দৃষ্টিতে এমন ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

বিশ্লেষকরা এই জরিপ-কে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে বলছেন, এই জরিপের ফলাফল ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা ও নীতিগত বিভাজনকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।

 

সূত্র: রয়টার্স

আরবি/এসএম

Link copied!