সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম

২৪৫ শতাংশ শুল্কের জবাব

চীনের পাল্টা চালে ধরাশায়ী যুক্তরাষ্ট্র!

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম

চীনের পাল্টা চালে ধরাশায়ী যুক্তরাষ্ট্র!

‘রেয়ার আর্থ’ বলতে বোঝানো হয় ১৭টি রাসায়নিক মৌলকে। ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস

দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সকল দেশের বাণিজ্য খাতে শুল্কারোপ করে। যদিও চীন ছাড়া সকল দেশ থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন। তবে চীনের উপর শুল্কারোপ ২৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। ফলে বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন এক মাত্রা পেয়েছে। পাল্টা জবাবে যুক্তরাষ্ট্রে ‘রেয়ার আর্থ’ নামের বিরল  খনিজ পদার্থ রপ্তানি বন্ধ করেছে চীন।

আর্থ ম্যাগনেট বিষয়ক পরামর্শদানকারী প্রতিষ্ঠান জেওসির প্রতিষ্ঠাতা জন ওরমেরড চীনের ওপর এই শুল্কারোপকে অযৌক্তিক ও অকার্যকর মনে করেন।

তিনি বলেন, শুল্কারোপের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মোট পাঁচটি কোম্পানিতে খনিজ পদার্থটির রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে চীন। ‘রেয়ার আর্থ’ নামের বিরল এই খনিজ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও বৃহৎ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই খনিজ পদার্থ শুধু সামরিক উন্নয়নেই নয়, সকল উচ্চ প্রযুক্তি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। তাই পাল্টা জবাব দিলো চীন।

জিঞ্জার ইন্টারন্যাশনালের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের পরিচালক থমাস ক্রুয়েমার বলেন, যেকোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র পরিচালনার জন্য ‘রেয়ার আর্থ’ প্রয়োজন। কারণ এই খনিজ সম্পদে ১৭টি রাসায়নিক মৌল বিদ্যমান।

যেগুলোর মধ্যে নিয়োডিমিয়াম দিয়ে তৈরি চুম্বক ব্যবহৃত হয় কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ, বৈদ্যুতিক গাড়ির মোটর, জেট ইঞ্জিন ও স্পিকার তৈরিতে। ইউরোপিয়াম ও ইট্রিয়াম ব্যবহৃত হয় টেলিভিশন ও কম্পিউটার স্ক্রিনে রঙ প্রদর্শনের জন্য। আবার চিকিৎসাবিজ্ঞানের লেজার সার্জারি থেকে এমআরআই পর্যন্ত সবক্ষেত্রেও মৌলগুলো ব্যবহৃত হয়।

চীন ২০২০-২৩ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ‘রেয়ার আর্থ’ রপ্তানি করেছে। এই পদার্থ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সামরিক ক্ষেত্রে এত অগ্রসর হতে পারত না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎপাদনের মূলেই আছে খনিজ পদার্থটি। রপ্তানি স্থগিতের কারণে উৎপাদন ব্যহত হবে যুক্তরাষ্ট্রের।

Link copied!