পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্বের শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন মুলুকে ‘সংরক্ষিত’ আছে ভিনগ্রহী প্রাণীদের (ইউএফও) যান। এমনকি এলিয়েনের দেহও রয়েছে! এ নিয়ে বিতর্ক বেশ পুরোনো। অবশ্য এলিয়েন নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। তবে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইএ।
সংস্থাটির দাবি, প্রায় ৩৫ বছর আগে স্নায়ুযুদ্ধের শেষ দিকে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার সেনার ওপর হামলা চালিয়েছিল এলিয়েনরা। এতে মুহূর্তেই পাথরে পরিণত হন ২৩ জন সৈনিক।
সিআইএয়ের প্রকাশিত ২৫০ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী, সে সময় সাইবেরিয়ার এক ঘন জঙ্গলে সোভিয়েত রাশিয়ার সেনাদের একটি ইউনিটের মহড়া চলছিল। হঠাৎ তারা মাথার ওপর একটি ফ্লাইং ডিস্ক দেখতে পান। তৎক্ষণাৎ কয়েকজন সৈনিক গুলি ছোড়েন, আবার কেউ মিসাইল ছোড়েন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মাটিতে আছড়ে পড়ার পর দেখা যায়, সেটি ইউএফও। যার মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে পাঁচ এলিয়েন। তারা একসঙ্গে মিলে একটি বলের আকৃতি ধারণ করে। এরপরই কোনো একটি শক্তি প্রবাহ তৈরি হয়, যার ফলে ২৩ জন সেনা পাথরে পরিণত হন।
জানা গেছে, কেবল দু’জন সেনা সেই সময় ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এলিয়েনদের ওই এনার্জির সংস্পর্শে সেভাবে না আসায়, তারা বেঁচে যান। তরা জানান, ওই পাঁচ এলিয়েন ভেঙে পড়া যান থেকে বেরিয়ে একসঙ্গে মিশে বলের আকৃতি নিয়েছিল। তারপরে সাদা রঙের খুব উজ্জ্বল আলোয় চারপাশে যেন এক বিস্ফোরণ হয়। তারপরই একাধিক সেনা পাথরে পরিণত হয়ে যান।
সিআইএয়ের তথ্য বলছে, ওই ঘটনার পরই এলিয়েনদের যান ও পাথরে পরিণত হওয়া সৈন্যদের মস্কোর গোপন আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পাথরে পরিণত হওয়া সৈন্যদের আকৃতি কিছুটা চুনাপাথরের মতো হয়ে গিয়েছিল। এ তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে হইচই শুরু হয়েছে।
১৯৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রোজওয়েল অঞ্চলে প্রথমবার ইউএফও’র ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার দাবি তোলা হয়। তারপর থেকেই গোটা বিশ্বে ক্রমশ বাড়তে থাকে ফ্লাইং সসার দেখার দাবিদারদের সংখ্যা।