ইয়েমেনের পশ্চিম উপকূলের রাস ইসা বন্দরে ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত এবং আরও অন্তত ১০২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালবেলায় (স্থানীয় সময় ) এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হোদেইদাহ প্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর। ইয়েমেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানায়, এই হামলাটি ছিল সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাণঘাতী অভিযান।
হামলার পর মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযান চালানো হয়েছে হুথি আন্দোলনের জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে। ওয়াশিংটনের দাবি, হুথি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপথে হামলা চালিয়ে বিশ্ব সরবরাহ ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
তাদের এসব তৎপরতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়ে যাবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এই হামলার লক্ষ্য ছিল হুথিদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডে আঘাত হানা, যাতে তাদের যুদ্ধক্ষমতা ভেঙে পড়ে।’
ইতোমধ্যে হুথিদের পক্ষ থেকে হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এ ধরনের পদক্ষেপ ইয়েমেনকে আরও দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে।
এদিকে, একই দিনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাতেও নেমে এসেছে রক্তঝরা সকাল। অবরুদ্ধ খান ইউনিসে এক পরিবারের ১৩ জন সদস্য একযোগে নিহত হন ইসরায়েলি বিমান হামলায়। এর আগের দিন, বৃহস্পতিবার, আরও ৩২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া বহু মানুষ এখনও উদ্ধার হয়নি, ফলে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও ত্রাণ সংস্থাগুলো গাজার পরিস্থিতিকে বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে গভীর মানবিক বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছে।
সূত্র: আল মাসিরাহ টিভি, হোদেইদাহ স্বাস্থ্য অফিস ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়