ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

নেপিদোর ৮০ ভাগ সরকারি ভবন বিধ্বস্ত

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
ভূমিকম্পে নেপিদোতে ক্ষতিগ্রস্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে জান্তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ে ও জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপ। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর প্রায় ৮০ শতাংশ সরকারি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে রাজধানী থেকে কয়েকটি মন্ত্রণালয় ইয়াঙ্গুনে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে জান্তা কর্তৃপক্ষ। খবর দ্য ইরাবতী

চলতি বছরের ২৮ মার্চ স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারসহ আশপাশের দেশগুলো ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। পরপর দুটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এতে দেশটির নেপিদো ও মান্দালয়ের মতো প্রধান শহরগুলো রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৯ জনের। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮ জন। তবে মৃত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি বলে আশঙ্কা বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার।

প্রতিবেদন মতে, রাজধানী নেপিদোর প্রায় ৮০ শতাংশ সরকারি ভবন ও কর্মীদের অ্যাপার্টমেন্ট বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রেসিডেন্টের বাসভবন, সংসদ ভবন এবং বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ও রয়েছে যা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ কারণে কয়েকটি মন্ত্রণালয় ইয়াঙ্গুনে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হোটেল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, অভিবাসন ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থানান্তরিত করা পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরই মধ্যে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে দ্য ইরাবতী জানিয়েছে।

আগের সামরিক কর্তৃপক্ষ রাজধানী নেপিদোতে স্থানান্তরিত করার সময় ইয়াঙ্গুনের কিছু সরকারি ভবন ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি অফিস ভবন এখনও রয়ে গেছে এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে একজন ব্যবসায়ী বলছিলেন, ‘ভূমিকম্পে নেপিদোর প্রায় ৮০ শতাংশ মন্ত্রণালয় ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি শুনেছি, কিছু মন্ত্রণালয় অস্থায়ীভাবে ইয়াঙ্গুনে স্থানান্তরিত হবে।’ 

জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং বৌদ্ধ নববর্ষের ভাষণে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয় ও আবাসিক ভবন পুনর্নির্মাণ এবং পরিবহন সংযোগ পুনরুদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।