কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল চালানো বন্দুক হামলার ঘটনায় নিজেদের দায় অস্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)।
বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী এই হামলার দায় স্বীকার করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। তবে, এই সংগঠনটি এক বিবৃতিতে দাবি করে, হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ভারত তাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
টিআরএফ জানায়, পেহেলগামের হামলার পর তাদের নামে একটি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা তারা অনুমোদন করেনি। টিআরএফের মতে, ওই বার্তাটি ভারতীয় গোয়েন্দাদের সাইবার হামলার ফলস্বরূপ প্রকাশিত হয়।
‘আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুমোদনহীন একটি বার্তা পোস্ট করা হয়েছিল, যা ভারতের সাইবার যুদ্ধের কৌশলের অংশ’, বলে অভিযোগ করে টিআরএফ। তারা আরও জানায়, একে ‘সাজানো প্রচার’ হিসেবে দেখছে, যার উদ্দেশ্য কাশ্মীরি প্রতিরোধ আন্দোলনকে কলঙ্কিত করা।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে টিআরএফ বলে, ‘আমরা নিশ্চিত যে এটি একটি সুনির্দিষ্ট সাইবার অনুপ্রবেশ, যা ভারতের ডিজিটাল যুদ্ধের একটি পরিচিত কৌশল।’ সংগঠনটি আরও জানায়, তারা এই অনুপ্রবেশের উৎস অনুসন্ধান করতে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করা হয়, তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের খারাপ হওয়া এবং প্রতিবাদ হিসেবে পাকিস্তান জাতিসংঘের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানায়।
এই হামলার পর ভারত বেশকিছু কঠোর পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার। এর পাল্টা হিসেবে পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
এদিকে, টিআরএফ সম্পর্কে জানা যায়, এটি একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন, যা পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তইয়্যেবার (এলইটি) সঙ্গে সম্পর্কিত। অনেক বিশেষজ্ঞ টিআরএফ-কে লস্কর-ই-তাইয়্যেবার (এলইটি) একটি ‘প্রক্সি’ গ্রুপ হিসেবেও চিহ্নিত করেন
২০১৯ সালে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে এবং পরে কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স নামের প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এলইটি সংগঠনটি ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার জন্য দায়ী।