পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিতে রোম সফরে গিয়ে ভ্যাটিকানের বিশাল গির্জার ভিতরে একান্ত বৈঠকে মিলিত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এই বৈঠক যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টায় নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
বৈঠকের আগে ট্রাম্প জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি শান্তিচুক্তির একদম ‘দরজার কড়ায়’ পৌঁছে গেছে। এই মন্তব্যের ঠিক আগেই মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের বৈঠক হয়। ক্রেমলিন সেই আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ বলে আখ্যা দিলেও সেখানে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি ছিলেন না।
ট্রাম্প আরও বলেন, বেশির ভাগ প্রধান ইস্যুতে দু’পক্ষের মধ্যে একমত হওয়া গেছে এবং তিনি উভয় দেশকে দ্রুত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসে চুক্তি সম্পাদনের আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের এই বৈঠকে শান্তিপ্রক্রিয়া কতটা এগিয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু প্রকাশ করা হয়নি। তবে জেলেনস্কি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই বৈঠক সফল হলে তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই নেতার আলোচনাটি ছিল ‘খুবই ফলপ্রসূ’। সেন্ট পিটার্স বাসিলিকার অভ্যন্তরে প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী এই আলোচনা হয়েছিল একান্ত পরিবেশে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এটাই ছিল দুই নেতার প্রথম সামনাসামনি সাক্ষাৎ, যা যুদ্ধের এই ক্রান্তিকালে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
বৈঠক শেষে টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জেলেনস্কি লেখেন, ‘আলোচনায় উঠে এসেছে- মানুষের জীবন রক্ষা, সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়।’
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক নিশ্চিত করেছেন যে, এই বৈঠক ছিল ‘গঠনমূলক’, এবং আলোচনার বিস্তারিত শিগগির জানানো হবে।