ঢাকা রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

ইরানে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
বন্দর আব্বাসের কাছে একটি বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণের পর উদ্ধারকাজ করছেন দমকলকর্মীরা ছবি: সংগৃহীত

ইরানের দক্ষিণ হরমোজগান প্রদেশের শাহিদ রাজাঈ বন্দরে শনিবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৫০ জনের বেশি।রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরটি হরমুজ প্রণালির উত্তর তীরে অবস্থিত বন্দর আব্বাস থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। 

বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। সরকারের মুখপাত্র ফাতেমা মোহাজেরানি জানিয়েছেন, বন্দরটিতে অবস্থানরত কিছু কন্টেইনারে দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ ছিল, যা সম্ভবত বিস্ফোরিত হয়েছে।

ইরানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী এসকান্দার মোমেনি এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রধান পিরহোসেইন কোলিভান্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। 

বিস্ফোরণের পর ২০টি র‌্যাপিড রেসপন্স টিম এবং ৫টি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আহতদের হরমোজগান প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জরুরি অপারেশন সেন্টারগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তা ও অপারেশনাল টিমগুলোর কার্যক্রম মনিটর করা হচ্ছে।

হরমোজগান, ফার্স এবং কেরমান প্রদেশের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো আহতদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। তেহরানের কিছু চিকিৎসাকেন্দ্রও তাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।

প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণটি বন্দরের একটি প্রশাসনিক ভবন থেকে সংঘটিত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, এটি সম্পূর্ণভাবে ভবনটি ধ্বংস করে ফেলেছিল এবং বহু গাড়ি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রেস টিভি।

ঘটনার পর বন্দরের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে এবং নিরাপত্তা ও জরুরি টিমগুলো এলাকা নিরাপদ করতে কাজ করছে। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে বন্দর আব্বাস এলাকার হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

জাতীয় ইরানি তেল পরিশোধন ও বিতরণ কোম্পানি জানিয়েছে যে, বিস্ফোরণের সাথে তাদের কোনো পরিশোধনাগার, জ্বালানি ট্যাঙ্ক, বিতরণ কেন্দ্র বা তেল পাইপলাইনের সম্পর্ক নেই।

বন্দর আব্বাসের সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান। নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে জানিয়েছেন তিনি।

প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ-রেজা আরেফ তৎক্ষণাত এবং ব্যাপক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে ঘটনাটির সঠিক কারণ এবং ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়।


সূত্র: তেহরান টাইমস