রাশিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, দেশটির কুরস্ক অঞ্চল পুরোপুরি পুনর্দখল করা হয়েছে। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, এখনো ওই অঞ্চলে তীব্র সংঘর্ষ চলছে।
রাশিয়ার সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে জানান, কুরস্কে ইউক্রেনের শেষ নিয়ন্ত্রিত গ্রাম গর্নাল মুক্ত করা হয়েছে। পুতিন মন্তব্য করেন, ‘ইউক্রেন সরকারের দুঃসাহসী অভিযান সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ পাল্টা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়।’ তিনি স্বীকার করেন, ‘কুরস্কে পরিস্থিতি কঠিন, তবে আমাদের সেনারা এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের অনেক অংশ দখল করে নেয়। কুরস্কের নিয়ন্ত্রণ ভবিষ্যতের শান্তি আলোচনায় কিয়েভের জন্য কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে। তাই এই অঞ্চল ধরে রাখার জন্য ইউক্রেন দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে, রুশ সেনাপ্রধান গেরাসিমভ প্রথমবারের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তর কোরীয় সেনাদের উপস্থিতি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ার যোদ্ধারা ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিটকে পরাস্ত করতে রুশ বাহিনীকে উল্লেখযোগ্য সহায়তা করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর উত্তর কোরিয়া থেকে প্রায় ১০ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠানো হয় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তার জন্য। ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা কুরস্কে যুদ্ধরত কয়েকজন উত্তর কোরীয় সেনাকে বন্দি করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
অন্যদিকে, যখন কুরস্কে রাশিয়ার অগ্রগতি চলছে, তখন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সময় মার্কিন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি ‘সম্পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির’ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পুতিন কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছেন।