ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

বাংলাদেশে পানিপ্রবাহ বন্ধের দাবি বিজেপি নেতার

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
বিজেপি নেতা ও লোকসভার এমপি নিশিকান্ত দুবে ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে কয়েক দশকের পুরোনো সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ভারতের এই পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণার শামিল বলছে ইসলামাবাদ।

দক্ষিণ এশিয়ার চিরবৈরী দুই দেশের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই প্রতিবেশী বাংলাদেশেও যৌথ নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এক নেতা।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তিকে ভুল হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে পানি সরবরাহ বন্ধের জানান বিজেপি নেতা ও লোকসভার এমপি নিশিকান্ত দুবে।

দুবে বলেন, ‘গঙ্গার পানি চুক্তি ভুল ছিল। এটি স্বাক্ষর করে ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস সরকার একটি ভুল করেছিল। যারা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ, তাদের সঙ্গে আর কত দিন পানি ভাগাভাগি করা হবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘আর কত দিন সাপকে পানি দেব? সময় এসেছে এদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার।’

এসময়, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন দুবে। 

তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত করা প্রয়োজন।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করে দুবে বলেন, ‘১৪০ কোটি ভারতীয়ের সমর্থন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি রয়েছে এবং সারা বিশ্ব তাঁকে শক্তিশালী নেতা হিসেবে দেখে। সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে তার দৃঢ় সংকল্প স্পষ্ট।’

কাশ্মীর হামলার পর বিহারের এক জনসভায় মোদি বলেন, পাহেলগাম হামলার পেছনের সন্ত্রাসী ও ষড়যন্ত্রকারীদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না।

সন্ত্রাসবাদ বিনা শাস্তিতে ছাড় পাবে না এবং নিরীহ প্রাণহানির বিচার নিশ্চিত করতে ভারত সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেবে। তিনি আরও বলেন, শাস্তি এতটাই কঠোর হবে, যা সন্ত্রাসীরা ভাবতেও পারবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

পেহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে ভারত। ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের পাশাপাশি পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসাও বাতিল করেছে দেশটি। 

এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যেই, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য এবং ভারতীয়দের জন্য ভিসা স্থগিত করেছে পাকিস্তান।

এর পাশাপাশি, ভারতীয় উড়োজাহাজগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমাও বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি।