কাশ্মীর সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর টানা পঞ্চম রাতের মতো ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৮ এপ্রিল রাত থেকে ২৯ এপ্রিল ভোর পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনারা বিনা উসকানিতে কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা ও আখনূর সেক্টরের বিপরীতে গুলি চালায়। এ উসকানির জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘সংযত ও কার্যকর’ প্রতিক্রিয়া জানায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া গুলিবিনিময় এরই মধ্যে টানা পাঁচ দিন ধরে চলছে। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকবার গুলির ঘটনা ঘটে, যার সর্বশেষটি হয়েছে সোমবার রাতে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গোলাগুলির জন্য ভারত প্রতিবারই পাকিস্তানকে দায়ী করছে। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
এই সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার পেছনে রয়েছে ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম অঞ্চলে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলা, যেখানে কাশ্মীরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন।
২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিই ছিল কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী ঘটনা।
এ হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যায়। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি চলছে। সীমান্তে সেনা মোতায়েন বেড়েছে এবং দুই দেশই নিজেদের প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে।
সীমান্তের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি শুধু উপমহাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :