ঢাকা বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

বিএসএফ আটক কাণ্ডে সীমান্তে ফের উত্তেজনা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
সীমান্তে কড়া পাহাড়ায় একজন পাকিস্তানী সেনা ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় এক সীমান্তরক্ষীকে আটক কাণ্ডে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী আটকের এ ঘটনা নতুন করে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। 
 
এর আগে, ভারতের আধা-সামরিক বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সদস্য পুরনম কুমার শ-কে আটক করে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পাকিস্তান রেঞ্জার্স। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, পাঞ্জাব সীমান্তে কৃষকদের ফসল তদারকি করতে গিয়ে তিনি অনিচ্ছাকৃত পাকিস্তানি সীমানায় চলে যান তিনি। 

এ ঘটনার ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে এবং সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। 

তবে, এ দাবি অস্বীকার করে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান।  

পুরনম কুমার শ আটক হওয়ায় পাকিস্তান এখন একটি কূটনৈতিক সুবিধা পেতে পারে, যা ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপকে প্রভাবিত করতে পারে। 

এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি নন ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। তবে একজন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা শ’র আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্য কল্যাণ ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে নিশ্চিত করেছেন যে শ সুস্থ আছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার সম্ভাব্য সব চেষ্টা করছে। 

তবে প্রায় দুই দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এ সীমান্তরক্ষী কীভাবে পাকিস্তানের হেফাজতে চলে গেলেন, তার স্পষ্ট বিবরণ জানা যায়নি। 

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কিছু অংশে নিরাপত্তা বিন্যাস জটিল। অনেক ক্ষেত্রে ভারতীয় কৃষিজমি ‘জিরো পয়েন্ট’ বা সীমান্তরেখার খুব কাছাকাছি অবস্থিত।

বিএসএফ কৃষকদের পরিচয়পত্র দিয়ে তাদের জমিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় এবং তাদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখে। এ ধরনের অনিচ্ছাকৃত সীমান্ত পার হওয়ার ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কাশ্মীর ইস্যুতেও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তখন ভারত বিমান হামলা চালালে পাকিস্তান এক ভারতীয় পাইলটকে আটক করেছিল।

পরবর্তীকালে সেই পাইলটের মুক্তি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ভূমিকা রেখেছিল।

অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কে. জে. সিং বলেছেন, সীমান্তরক্ষীদের অনিচ্ছাকৃতভাবে সীমান্ত পার হওয়া সাধারণ ঘটনা, তাই পাইলট আটকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়।

তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এ ঘটনায় দুই দেশের আলোচনা সাধারণের চেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হতে পারে। 

সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস